অলিম্পিকে আর্জেন্টিনা, অপেক্ষায় ব্রাজিল
>কলম্বিয়াকে হারিয়ে এ বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টোকিও অলিম্পিকের মূল পর্বে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করে নিল আর্জেন্টিনার অনূর্ধ্ব-২৩ দল। তবে ব্রাজিলের অংশগ্রহণ এখনো নিশ্চিত নয়
মেসি-আগুয়েরোদের দেখানো পথে আরেকটু এগিয়ে গেল আর্জেন্টিনার যুবারা। টোকিও অলিম্পিকের মূল পর্বে নিজেদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করল তারা। কলম্বিয়ার যুবাদের ২-১ গোলে হারিয়ে অলিম্পিকের টিকিট কেটেছে তারা। গোল করেছেন ব্যানফিল্ডের স্ট্রাইকার অগুস্তিন উর্জি ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে ধারে পর্তুগালের ফ্যামিলিকাওতে খেলতে যাওয়া ডিফেন্ডার নেহুয়েন পেরেজ।
দুটি গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। ৫০ মিনিটে উর্জি দলকে এগিয়ে নেওয়ার তিন মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পেরেজ। ৬৭ মিনিটে স্ট্রাইকার এডউইন চেত্রের কল্যাণে ব্যবধান কমায় কলম্বিয়া। আর একটা গোল খেলেই কলম্বিয়ার সঙ্গে সমতায় চলে আসতে হতো, অলিম্পিকে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে যেত আর্জেন্টিনার। সে ভয় থেকেই কি না, হুট করে নায়ক থেকে খলনায়ক হয়ে গিয়েছিলেন প্রথম গোলদাতা উর্জি। ৬৯ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন এই স্ট্রাইকার। ম্যাচের বাকি ২১ মিনিট ১০ জন নিয়েই খেলতে হয় আর্জেন্টিনাকে।
এর আগে দক্ষিণ আমেরিকায় অলিম্পিক বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে উরুগুয়েকে ৩-২ গোলে হারিয়েছিল লা আলবিসেলেস্তেরা। সেদিন আর্জেন্টিনার ত্রাতা হয়ে এসেছিলেন বোকা জুনিয়র্সের অ্যালিক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার আর ফস্তো ভেরা। দুই ম্যাচ থেকে পূর্ণ ছয় পয়েন্ট, মহাদেশের প্রথম দল হিসেবে টোকিওর টিকিট নিশ্চিত হয়েছে এভাবেই।
অলিম্পিকে অংশগ্রহণ নিয়ে আর্জেন্টিনার চিন্তা মুক্তি ঘটলেও এখনো নিশ্চিন্ত হয়নি ব্রাজিল। এর আগে কলম্বিয়া ও উরুগুয়ের যুবাদের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে দুই ম্যাচ থেকে দুই পয়েন্ট পেয়েছে ব্রাজিলের অনূর্ধ্ব-২৩ দল। মহাদেশের দ্বিতীয় ও শেষ দল হিসেবে অলিম্পিকে যাওয়ার জন্য তাই ওই দুই দলের সঙ্গেই লড়ছে ব্রাজিল। আগামী রোববার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচে জয় পেলেই দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত হবে ব্রাজিলের।
ড্র করলে সমীকরণ কঠিন হয়ে পড়বে তাদের। ব্রাজিল ড্র করলে যদি উরুগুয়ে- কলম্বিয়া ম্যাচে কেউ জিতে যায়, তাহলে সে ম্যাচে জয়ী দল ব্রাজিলকে টপকে চলে যাবে অলিম্পিকের মূল পর্বে। আর সে ম্যাচটিও যদি ড্র হয়, তাহলে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ন্যূনতম ড্র করতে পারলেই মূল পর্ব নিশ্চিত করতে পারবে। ফলে ব্রাজিলের তরুণ তারকাদের মাথায় এখন অনেক হিসাব-নিকাশ।
ব্রাজিলকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে স্ট্রাইকারদের ফর্ম। সদ্য আরবি লাইপজিগ থেকে হার্থা বার্লিনে যোগ দেওয়া ম্যাথিউস কুনহা ছাড়া তেমন কেউই ফর্মে নেই। দুই ম্যাচে দুই গোল করা ব্রাজিলের একটি গোল করেছেন এই কুনহা, আরেকটি আত্মঘাতী। ফলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারাতে স্ট্রাইকারদের ফর্মের দিকেই তাকিয়ে থাকা লাগবে ব্রাজিলের।
অলিম্পিক ফুটবলে আর্জেন্টিনা এখন পর্যন্ত দুবার সোনার পদক জয় করেছে। প্রথমবার ২০০৪ সালে, শেষবার ২০০৮ সালে। শেষবার অলিম্পিকে সোনা এসেছিল মেসি-আগুয়েরোদের কল্যাণে। সে পথেই এগোতে চাইছেন আডোলফো গাইচ-নেহুয়েন পেরেজরা।