জামাল ভূঁইয়াদের বড় পুঁজি সাহস

আজও জ্বলে উঠতে চাইবেন জামাল ভূঁইয়ারা। ফাইল ছবি
আজও জ্বলে উঠতে চাইবেন জামাল ভূঁইয়ারা। ফাইল ছবি

র‍্যাঙ্কিংয়ে ৮৪ নম্বরে অবস্থান করছে ওমান। ১০০ ধাপ পেছনে গিয়ে বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে আছে ১৮৪। খাতা কলমের পরিসংখ্যানে ওমানের সামনে তো বাংলাদেশের উড়ে যাওয়ার-ই কথা! কিন্তু মাঠে নামার আগে অন্তত তা হচ্ছে না। গত মাসে কাতার ও ভারত ম্যাচের পর বদলে গেছে গোটা দলই। অভিজ্ঞ জামাল ভূঁইয়ার নেতৃত্বে তরুণ তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ দলটি এখন সবচেয়ে বড় পুঁজি সাহস ও হার না মানার মানসিকতা। আজ মাসকাটে বাংলাদেশ বনাম ওমান ম্যাচের থিমও তাই ‘শক্তিশালী ওমানের সামনে সাহসী বাংলাদেশ।’

আজকের ম্যাচটি দিয়ে বাছাইপর্বের চতুর্থ ম্যাচটি খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ কোচ জেমি ডের মতে বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত এটিই বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে কঠিন ম্যাচ, ‘ওমানের বিপক্ষে তাদেরই মাঠে খেলাটা আমাদের জন্য বিশাল এক পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় পাস করতে আমাদের সামর্থ্যের চেয়েও ভালো খেলতে হবে। আমরা চেষ্টা করব শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ভালো কিছু করতে।’

এমন চাওয়ার পেছনে বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে তরুণদের নৈপুণ্য। যদিও প্রথম তিন ম্যাচে বাংলাদেশের পয়েন্ট মাত্র এক। সেই পয়েন্টটি এসেছে গত ১৫ অক্টোবর কলকাতায় ভারতের বিপক্ষে জিততে জিততে ১-১ গোলে ড্র করা ম্যাচে। ভারতের বিপক্ষে জিততে না পারার আক্ষেপ আছে। তবে এক পয়েন্টও কম নয় বাংলাদেশের জন্য। এর আগের ম্যাচে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতারের সঙ্গে ঘরের মাঠে ০-২ গোলে হারলেও সে ম্যাচে দারুণ খেলেছে জেমি ডের দল।

>

বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে আজ ওমানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় মাসকাটের সুলতান কাবুস স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।

শেষ দুই ম্যাচ থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস ও সাহসই আজ বাংলাদেশের অনুপ্রেরণা। ওমানের মাঠ থেকে পয়েন্ট নিয়ে ফেরাটা দুঃসাহসিক কাজ হলেও বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া আগেই হার মানতে নারাজ, ‘ওমান আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। কিন্তু আমাদের ঘাবড়ে গেলে চলবে না। আগের ম্যাচগুলোয় আমরা ভালো খেলেছি, বিশেষ করে ভারত ম্যাচে। সেই ম্যাচের পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি করতে চাই। তা ছাড়া আমাদের দায়িত্ব হবে, ওমানকে গোল করতে না দেওয়া।’

প্রতিপক্ষ ওমান ধারে-ভারে যেমন এগিয়ে, তেমনি দলটির কোচিং স্টাফের দিকে তাকালেও সমীহ জাগতে বাধ্য। ওমানের কোচ এরউইন ক্যোমান হল্যান্ড জাতীয় দলের মিডফিল্ডার ছিলেন। তাঁর দল অনেক এগিয়ে থাকলেও সম্মান দিচ্ছেন বাংলাদেশকে। জামালদের নিয়ে ওমান কোচ যে দারুণ হোম ওয়ার্ক করে নিয়েছেন, তা স্পষ্ট ক্যোমানের বক্তব্যে, ‘আমরা বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছি। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে জেতা সহজ হবে না। তাদের (বাংলাদেশ) মাঠে কাতারের দ্বিতীয় গোল করতে দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল। আফগানিস্তান মাত্র এক গোল করতে পেরেছিল তাদের বিপক্ষে। ভারতের বিপক্ষে সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ৫০ মিনিটে বাংলাদেশ দুই গোলে এগিয়ে থাকতে পারত।’

রেকর্ড পত্র ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে এর আগে ওমানের বিপক্ষে একবারই খেলেছি বাংলাদেশ। ১৯৮২ সালে পাকিস্তানে কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে দুই দেশ মুখোমুখি হয়েছিল। ম্যাচটিতে ৩-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ।