পাকিস্তানকে পাত্তা দিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ব্রেন্ডন ম্যাককালাম দুইয়ে দুই পাচ্ছেন আপাতত।
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন সাবেক নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। সে ভবিষ্যদ্বাণী বাংলাদেশের সমর্থকদের পছন্দ হওয়ার কথা নয়। মাত্র একটি ম্যাচে বাংলাদেশকে জয়ী দেখছেন ম্যাককালাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত ম্যাককালাম কোনো ভুল করেননি। ক্রিকেট বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছে ম্যাককালাম যাদের জয়ী হবে বলেছেন তারা। আজ যেমন পাকিস্তানকে কোনো সুযোগই দেয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হারিয়ে দিয়েছে ৭ উইকেটে, ২১৮ বল হাতে রেখেই।
ম্যাচের আগে মাইকেল হোল্ডিং উইকেট দেখে বলেছিলেন শুরুতেই নাকি যা একটু আর্দ্রতা থাকবে। এ উইকেট দেখে ফাস্ট বোলারদের খুব একটা আশাবাদী হওয়ার কিছু নেই। হালকা ঘাস ও মেঘলা আবহাওয়াও নাকি এ উইকেটে তেমন প্রভাব ফেলবে না। মেঘলা আবহাওয়া পাকিস্তানের ইনিংস জুড়েই ছিল। শেষ উইকেট জুটিতে ২২ রান না এলে ১০০ রানও আজ পেত না পাকিস্তান। ওয়াহাব রিয়াজের এলোপাতাড়ি তিন শটে ১০৫ রান করেছে পাকিস্তান।
ফখর জামানের উজ্জ্বল শুরু হোল্ডিংয়ের পিচ রিপোর্টকে সত্য ভাবাচ্ছিল। তৃতীয় ওভারে ইমাম-উল-হকের বিদায়ও ভাবায়নি পাকিস্তানকে। কিন্তু ষষ্ঠ ওভারে ১৬ বলে ২২ তোলা ফখর আউট হওয়ার পরই বোঝা গেছে, মেঘলা আবহাওয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস আক্রমণকে সমীহ করতে হবে এবার। দশম ওভারে ফখরের পর সোহেলকেও তুলে নিলেন রাসেল। তবে পাকিস্তানের সর্বনাশ করেছেন করেছেন ওশান টমাস ও জ্যাসন হোল্ডার।
গতি ও সুইং দিয়ে দুই প্রান্তে ত্রাস সৃষ্টি করলেন। ওশানের গতি ও বাউন্সে হার মানলেন চারজন। হোল্ডারের নিয়ন্ত্রণের সামনে বিদায় নিলেন বাকি তিন। তাতেই ১০৫ রানে গুটিয়ে গেল পাকিস্তান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইন আপের সামনে ১০৬ রানের লক্ষ্য কিছুই না। সেটা প্রমাণ করতেই যেন নেমেছিলেন গেইলরা। শুরু থেকেই বাউন্ডারিতে মনোযোগ দিলেন। চতুর্থ ওভারে বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার রেকর্ড গড়ে নিলেন গেইল। ৩ ছক্কা ও ৬ চারে ৩৩ বলে ফিফটি ছুঁয়ে পরের বলেই অবশ্য আউট হয়ে গেছেন গেইল। মোহাম্মদ আমির ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ অভিষেকে তিন উইকেট পেয়ে যা একটু সান্ত্বনা দিয়েছেন পাকিস্তানকে। গেইলের বিদায়ের পর নিকোলাস পুরান বাকি দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ১৯ বলে ৩৪ রান করে ম্যাচ শেষ করে এসেছেন ১৪তম ওভারেই।