লাল জার্সিতে দুই ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ
>বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দুটি জার্সি। একটি চিরন্তন সবুজ, অন্যটি লাল। বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচ বাংলাদেশকে অ্যাওয়ে জার্সি বা লাল জার্সিতে দেখা যাবে।
হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে জার্সি দেখা যায় ফুটবলে। জার্সির রং বদলালেই নাকি দলের ফর্মও বদলে যায় অনেক দলের। ক্রিকেটেও এর প্রচলন শুরু হয়ে গেছে। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই অনেক দল দুটি জার্সি নিয়ে গিয়েছিল ভারতে। দুই রঙের জার্সি ছিল ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও। এবার ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপেও আছে হোম-অ্যাওয়ে জার্সি। ভিন্ন রঙের জার্সি আছে বাংলাদেশেরও।
বিশ্বকাপে একাধিক দলের মূল জার্সির রং প্রায় একই হওয়াতে ক্রিকেটেও অ্যাওয়ে জার্সির পরিকল্পনা করেছে। আর গতকাল বাংলাদেশ দল নিজেদের অ্যাওয়ে জার্সি হিসেবে লাল রঙের জার্সিটা সবার কাছে নতুন করে সামনে এনেছে।
এবার ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে অবশ্য সব দলই অ্যাওয়ে জার্সি নেয়নি। ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানকেই শুধু অ্যাওয়ে জার্সি বানাতে হচ্ছে। এর মধ্যে প্রথম দুই দলের মূল জার্সির রং নীল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার সময় ভারত-শ্রীলঙ্কা দুই দলকেই অ্যাওয়ে জার্সি পরতে হবে। নীল জার্সির ইংল্যান্ড এ ক্ষেত্রে স্বাগতিক দলের সুবিধা পাবে। ফলে তারা তাদের হোম জার্সি পরেই মাঠে নামবে।
বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তান দলের মূল জার্সির রং সবুজ। এর মাঝেই ‘প্রায় পাকিস্তানের মতো’—এ যুক্তিতে প্রথম জার্সিটা পরিবর্তন করেছে বাংলাদেশ। তবুও সবুজ রং তো আর বদলে যায়নি। ওদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার এবারের জার্সিটাও বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কাছাকাছি। ফলে এ তিন দলের ম্যাচগুলোতে যেকোনো এক দলকে অ্যাওয়ে জার্সি পরতে হবে।
পাকিস্তান অবশ্য এ দিক থেকে ভাগ্যবান। সবুজ জার্সি গায়ে দিয়েই প্রতিটি ম্যাচেই মাঠে নামতে পারবে তারা। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে অ্যাওয়ে জার্সি পরতে হবে। বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও বাংলাদেশকে অ্যাওয়ে জার্সি পরতে হবে।
সম্পূর্ণ ভিন্ন রঙ্গের জার্সি থাকায় হোম বা অ্যাওয়ে জার্সির ঝামেলায় যেতে হয়নি নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেই লাল জার্সি দেখার সুযোগ আছে। আর সেটি না হলে বিশ্বকাপে দেখা যাবেই।
বিশ্বকাপের সূচি অনুযায়ী বাংলাদেশের গ্রুপপর্ব শুরু ও শেষ হবে লাল জার্সি দিয়ে। কাকতালই বটে!