অস্ট্রেলিয়া শেষ কবে এমন স্বাদ পেয়েছিল?
>
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে ২০ রানে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৯৮ রানের ইনিংস খেলেছেন উসমান খাজা। পাকিস্তানের ইনিংসে সর্বোচ্চ ১৩০ রানের সংগ্রাহক ছিলেন হারিস সোহেল। ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে ম্যাক্সওয়েলের হাতে।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজে প্রথমবারের মতো তিনশ ছড়ানো ইনিংস খেলল দুই দলই। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উসমান খাজা-ফিঞ্চরা মিলে ৭ উইকেটে তোলেন ৩২৭ রান। ৩২৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানও ৭ উইকেট খোয়ায়। তবে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। হারিস সোহেলের লড়াইয়ের পরও পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হয় ৩০৭ রানেই। দুবাইয়ে লড়াই করেও ধবল ধোলাই এড়াতে পারল না পাকিস্তান। আর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা ২০০৮ সালের পর প্রথমবারের মতো ঘরের বাইরে ৫-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল।
এমন জয় অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসেরই তৃতীয়। এর আগে ৫ ম্যাচের সিরিজের সবগুলো তারা জিতেছিল মাত্র দুবার। আর ১৯৯৮ সাল থেকে এ নিয়ে অজিদের কাছে চতুর্থবারের মতো হোয়াইটওয়াশের শিকার হলো পাকিস্তান।
১২৯ বলে ১১ চার আর ৩ ছক্কা মিলিয়ে ১৩০ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন হারিস সোহেল। হারিস সোহেলের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি দ্বিতীয় শতক। তাও এমন দিনে যে দিনটি হয়তো ভুলেই যেতে চাইবেন পাকিস্তানের এই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান। পাকিস্তানের হয়ে অর্ধশতক করেছেন ওপেনার শান মাসুদ। ৫৪ বলে ৫০ রান করে এই ওপেনার জাম্পার এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন। তবে গত ম্যাচের মতো এ ম্যাচে আবিদ আলীর ব্যাট আর হেসে ওঠেনি। কোনো রান না করেই বেহেরেনড্রফের শিকারে পরিণত হন তিনি।
প্রথম ওভারেই আবিদ আলী ফিরে গেলে হারিস সোহেল আর শান মাসুদ মিলে ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করেন। শুরুর ধাক্কাটা ভালোই সামলে উঠেছিলেন দুজন। দলের ১০৯ রানের মাথাতে মাসুদ ফিরে গেলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে। মিডলঅর্ডার উমর আকমলের ৪৩ আর ইমাদ ওয়াসিমের অপরাজিত ৫০ রানে শেষ পর্যন্ত ৩০৭ রানে গিয়ে থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে টপঅর্ডারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ৩২৭ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। শিনওয়ারির বলে আউট হওয়ার আগে ওপেনার উসমান খাজা তোলেন ৯৮ রান। অধিনায়ক ফিঞ্চও শিনওয়ারির শিকারে পরিণত হন। ৬৯ বলে ২ চার আর ২ ছক্কায় ফিঞ্চ খেলেন ৫৩ রানের ইনিংস। অজিদের পরের দুই ব্যাটসম্যানও অর্ধশতক করে আউট হন। মার্শ আউট হন ৬১ রানে আর ৪৫ রানে ১ উইকেট শিকার করা ম্যাচসেরা ম্যাক্সওয়েল আউট হন ৩৩ বলে ৭০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে।
সিরিজ সেরার পুরস্কার ওঠে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ফিঞ্চের হাতে।