ঢাকার ফুটবলে ৬৫ লাখ টাকায় ক্লাব বদল!
>
• নতুন মৌসুমের জন্য ৬৫ লাখ টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ইমন বাবুকে।
• ৫৫ লাখ টাকায় চট্টগ্রাম আবাহনী ছেড়ে শেখ রাসেলে নাম লিখিয়েছেন গোলরক্ষক আশরাফুল।
• দলবদলের আনুষ্ঠানিক সূচি ঘোষিত না হলেও শিরোপাপ্রত্যাশীরা গুছিয়ে নিচ্ছে তাদের দল।
‘ঢাকার ফুটবলে টাকা ওড়ে’ কথাটি উড়ছে কয়েক দিন ধরে। দেশের ফুটবলের অবস্থা যত খারাপই হোক না কেন, ফুটবল মানেই টাকার ঝনঝনানি। আগে ফুটবলাররা দৌড়াতেন টাকার পেছনে, আর এখন টাকাই দৌড়ায় ফুটবলারদের পেছনে। না হলে ৬৫ লাখ টাকার অফার দেওয়া হয় কোনো খেলোয়াড়কে! এই অভাবনীয় অঙ্কের প্রস্তাবটাই পেয়েছেন আবাহনী লিমিটেডের মিডফিল্ডার ইমন বাবু। আর মোটা অঙ্কের এই প্রস্তাবে ধানমন্ডির মায়া ত্যাগ করে ইমনের বসুন্ধরায় তাঁবু গাড়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তা-ই যদি হয়, ইমনই হতে পারেন এ মৌসুমের সবচেয়ে দামি ফুটবলার।
বিশ্বস্ত সূত্র বলছে মিডফিল্ডার ইমন বাবুকে যেকোনো মূল্যেই পেতে চায় নবাগত বসুন্ধরা কিংস। তাই তাঁর কোর্টে ঠেলে দেওয়া হয়েছে ৬৫ লাখ টাকার বিশাল অঙ্কের প্রস্তাব। ইমনকে পেতে চাওয়ার কথা স্বীকার করলেও টাকার অঙ্কটা বলতে চাইলেন না ক্লাব সভাপতি ইমরুল হাসান, ‘আমরা ভালো একটি দল গঠন করতে চাই। আমাদের পছন্দের তালিকায় ইমন বাবু শীর্ষে আছেন। সে গত মৌসুমের সেরা খেলোয়াড়। তাই আমি মনে করি, সে সর্বোচ্চ টাকা পাওয়ার আশা করে। দলবদলের সূচি চূড়ান্ত হলেই আমরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করব।’ ইমরুল টাকার অঙ্কটা স্বীকার না করলেও, যা বললেন তা-ই বা কম কিসের!
শেষ দুই মৌসুম স্বপ্নের মতন কেটেছে ইমনের। চলতি মৌসুমে আবাহনীর দুই শিরোপার পেছনের অন্যতম চালিকাশক্তি ছিলেন এই প্লেমেকারই। আগের মৌসুমেও লিগ শিরোপা জয়ের পেছনে ছিল তাঁর বড় অবদান। না হলে কি আর ইংলিশ লি টাকের মতো খেলোয়াড় থাকা সত্ত্বেও আবাহনী কোচ জর্জ কোটান বলতে পারেন, ‘ইমনই আমার দলের সেরা খেলোয়াড়।’ মাঝমাঠে এমন ধারাবাহিক খেলোয়াড়কে পেতে কে না চায়!
তবে ইমন নাকি এখনো আবাহনী নিয়েই ভাবছেন, ‘ভালো অফার আছে। তবে আমি এখনো আবাহনীর খেলোয়াড়। সামনে এএফসি কাপ। সেটা নিয়েই ভাবছি। দল বদলের সময় এলে তখন দেখা যাবে।’
মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিকে ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম আবাহনী থেকে শেখ রাসেলে নাম লিখিয়েছেন গোলরক্ষক আশরাফুল রানা। বিশ্বস্ত সূত্র বলছে তিনি পেয়েছেন ৫৫ লাখ টাকা। এই বিষয়ে রানা বলেন, ‘দলবদল শুরু না হওয়া পর্যন্ত আমি চট্টগ্রাম আবাহনীর খেলোয়াড়। ভালো সুযোগ থাকলে আমি আবাহনীতেই থেকে যেতে চাই।’ বোঝাই যাচ্ছে, দলবদলের সূচি ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত কেউ মুখ খুলতে নারাজ। প্রতিবছরই যা হয় আর কি।
দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত না হলেও নতুন মৌসুমের আগমনী সুর এরই মধ্যে বাজতে শুরু করে দিয়েছে। প্রতি মৌসুমের মতো এবারও দল গঠনের জন্য টাকার থলে নিয়ে বাজারে নেমে গেছে ক্লাবগুলো। খেলোয়াড়েরাও চড়াতে শুরু করেছেন নিজেদের দাম। সবকিছুই চলছে প্রতিবছরের ন্যায় পর্দার অন্তরালে।