অলিম্পিকের বছরে নাদাল–বিষাদ ও টাইসনের ফেরা

অলিম্পিক বা বিশ্বকাপ ফুটবলের বছরে বাকি সব ছাপিয়ে বড় হয়ে ওঠে ওই বৈশ্বিক আসরই। শেষ হতে যাওয়া ২০২৪ সালের দিকে ফিরে তাকালেও যেমন জ্বলজ্বল করছে প্যারিস অলিম্পিক। টোকিওতে কোভিড মহামারির সময়ে বিষন্ন অলিম্পিকের পর প্যারিসে অলিম্পিক ফিরেছে ঝলমলে রূপে। আর অলিম্পিক মানেই তো স্মরণীয় সব দৃশ্যের কোলাজ। ‘সর্বকালের দ্রুততম রেস’ ছেলেদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে নতুন চ্যাম্পিয়ন নোয়াহ লাইলসের উদ্দাম উদ্‌যাপন। মেয়েদের ১০০ মিটারে সোনা জিতে সেন্ট লুসিয়াকে প্রথম পদক উপহার দেওয়ার পর জুলিয়েন আলফ্রেডের কান্না। ফিরে আসার দারুণ গল্প লিখে সিমোন বাইলসের অলিম্পিক ইতিহাসে সফলতম নারী জিমন্যাস্ট হয়ে যাওয়া। জল চিরে চারটি সোনা ফলিয়ে ফ্রান্সের নয়নমণি সাঁতারু লিঁও মারশাঁ, অলিম্পিক টেনিসে জোকোভিচের প্রথম সোনা।  এর বাইরেও তুমুল আলোচিত দুই কোরিয়ার খেলোয়াড়দের সেলফি। শুটার ইউসুফ দিকেচকেই বা ভুলে যান কিভাবে! পকেটে হাত ঢুকিয়ে ড্যাম কেয়ার ভঙ্গিতে তুরস্ককে যিনি শুটিংয়ে এনে দিয়েছেন প্রথম পদক।

টেনিসেও দেখা মিলেছে অন্য রকম প্রথমের। গত ২১ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জিততে দেখা যায়নি ‘বিগ থ্রি’কে। টেনিসে বিরাট নক্ষত্র-পতন। অবসরে রাফায়েল নাদাল, অ্যান্ডি মারেও। কার্লোস আলকারাজ ও আরিনা সাবালেঙ্কা দুটি করে গ্র্যান্ড স্লাম জিতে দিশা দেখান নতুন দিনের।

আরও পড়ুন

নতুন নয়, ১৯ বছর পর পেশাদার বক্সিংয়ে ফিরে পুরোনো দিন স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন মাইক টাইসন। ফর্মুলা ওয়ানের ট্র্যাকের টানা চতুর্থবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ম্যাক্স ভেরস্টাপেন। অবসর নেন সর্বকালের অন্যতম সেরা রোড স্প্রিন্টার সাইক্লিস্ট মার্ক ক্যাভেন্ডিশ।