দেখা হবে বন্ধু—লেভার অপেক্ষায় বায়ার্ন, হলান্ডের জন্য ডর্টমুন্ড

জার্মানির বুন্দেসলিগায় বায়ার্ন ও ডর্টমুন্ডে খেলতেন লেভানডফস্কি ও হলান্ডছবি: এএফপি

এ যেন ‘শেষ হইয়াও হইল না শেষ!’

বায়ার্নের সঙ্গে আট বছরের পথচলা থামিয়ে গত মাসে বার্সেলেনায় নাম লিখিয়েছেন রবার্ট লেভানডফস্কি। আর ডর্টমুন্ডে তিন মৌসুম পার করা আর্লিং হলান্ড পাড়ি জমিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটিতে। নতুন ঠিকানায় যেতে না যেতে আবারও জার্মানিতে ‘ডাক’ পড়েছে তাঁদের।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপপর্বে বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গী বার্সেলোনা আর ম্যানচেস্টার সিটির গ্রুপে পড়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। অর্থাৎ, বায়ার্নের সঙ্গে লেভার আর ডর্টমুন্ডের সঙ্গে হলান্ড পুনর্মিলনীর সুযোগ পাবেন।

আট মৌসুম বায়ার্ন মিউনিখে কাটানো লেভানডফস্কি জুলাইয়ে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছেন
ছবি: এএফপি

জার্মান লিগের দুই সাবেক ফুটবলারের মধ্যে লেভার সম্ভাব্য পুনর্মিলনে যোগ হয়েছে বাড়তি মাত্রা। ড্রতে বায়ার্নের গ্রুপসঙ্গী হিসেবে যখন বার্সেলোনার নাম উঠেছে, কোচ ইউলিয়ান নাগলসমানের নাকি প্রথমেই মনে পড়েছে রবার্ট লেভানডফস্কিকে, ‘আমার তো প্রথমেই মনে পড়েছে লেভার কথা। আশা করি বার্সার সঙ্গে এর আগে যা অর্জন করেছি, এবারও তেমন কিছু হবে।’

শুধু কোচ নন, লেভার মুখোমুখি হওয়ার উপলক্ষ পেয়ে নিজেদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তাঁর সাবেক সতীর্থরাও।

বায়ার্নে লেভার আক্রমণভাগের সাবেক সঙ্গী টমাস মুলার বলেন, ‘ফুটবল দর্শকদের জন্য দারুণ এক ড্র। মিস্টার লেভানডফস্কি, শিগগিরই আপনার সঙ্গে মিউনিখে দেখা হচ্ছে।’ বায়ার্ন অধিনায়ক ম্যানুয়েল ন্যুয়ারের টুইটেও ছিলেন লেভা, ‘বার্সেলোনা ও ইন্টার—কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে হবে। দুটিই বড় মাপের ক্লাব, স্টেডিয়ামও কিংবদন্তিতুল্য। আর লেভার বিপক্ষে খেলার ব্যাপারটিও দারুণ কিছু হবে।’

এক মাস আগে বায়ার্নে সাবেক হয়ে পড়া লেভা টানা আট মৌসুম ছিলেন বায়ার্নের আক্রমণভাগের প্রধান অস্ত্র। এই সময়ে বুন্দেসলিগার দলটির হয়ে খেলেছেন ৩৭৫ ম্যাচ, আটটি লিগ শিরোপা জয়ে অবদান রেখেছেন ৩৪৪ গোলে।

বাভারিয়ানদের সাফল্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে যাওয়া লেভা ক্লাবটি ছেড়েছেন একপ্রকার জোরাজুরি করেই। জার্মান চ্যাম্পিয়নরা তাঁকে ছাড়তে রাজি ছিল না। কিন্তু ৩৪ বছর বয়সী লেভা বার্সায় নাম লেখাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। বায়ার্নও শেষ পর্যন্ত আর তাঁকে আটকে রাখতে পারেনি। ফরোয়ার্ডের খোঁজে থাকা বার্সায় লেভা যোগ দেন পাঁচ কোটি ইউরোয়।

সালজবুর্গ থেকে ২০১৯ থেকে ২০ মৌসুমে উড়িয়ে আনা হলান্ডকেও ছাড়তে চায়নি ডর্টমুন্ড। তবে ‘রিলিজ ক্লজ’-এর ৬০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে তাঁকে ম্যানচেস্টারে নিয়ে যায় পেপ গার্দিওলার দল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপপর্বেই ফের দেখা হচ্ছে ডর্টমুন্ড ও হলান্ডের।

আরও পড়ুন

স্পেনের সেভিয়া আর ডেনমার্কের কোপেনহেগেনের সঙ্গে ম্যানচেস্টার সিটি ও ডর্টমুন্ড পড়েছে ‘জি’ গ্রুপে। তিন মৌসুম জার্মান ক্লাবটিতে কাটিয়ে যাওয়া হলান্ডকে নিয়ে তাঁর সাবেক সতীর্থ মিডফিল্ডার মার্কো রয়েস বলেছেন, ‘সিটি ম্যাচ নিয়ে তো বটেই, হলান্ডের সঙ্গে পুনর্মিলনের ব্যাপারটিও হবে চমৎকার।’