ওপেনার বাবরকে নিয়ে এত কথা কেন, প্রশ্ন সালমান বাটের
ওপেনার হিসেবে ৫০ ইনিংসে ২০ ফিফটি, ১ সেঞ্চুরি। গড় প্রায় ৪৩, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, সেই স্ট্রাইকরেট ১৩২.৭১। বাবর আজম ওপেনিং ছাড়া ব্যাটিং করেছেন তিন, চার ও পাঁচ নম্বরে। ব্যাটিংক্রমের অন্য সব জায়গার চেয়ে ওপেনিংয়েই বাবরের গড় ও স্ট্রাইক রেট বেশি। এরপরও ওপেনার বাবরকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। যে সমালোচনার বেশির ভাগই ধেয়ে আসে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারদের কাছ থেকে।
টি-টোয়েন্টিতে বাবর আজমকে ওপেনিং থেকে সরানোর কথা অনেক দিন ধরেই বলে আসছেন শোয়েব আখতার। এবার ভারতের কাছে এশিয়া কাপের ম্যাচে হারার পর সে কথা আবারও বলেছিলেন। সুপার ফোরে ভারতের মুখোমুখি হওয়ার আগে শোয়েবের কথাতেই সায় দিয়েছেন মোহাম্মদ হাফিজও। শোয়েবের মতো তিনিও বাবরকে তিন নম্বরে খেলার পরামর্শ দিয়েছেন। হাফিজ বাবরকে ওপেনিং পজিশন থেকে সরে গিয়ে সাহসের পরিচয় দিতেও বলেছেন। বাবরের ব্যাটিংক্রম নিয়ে এত কথা অবশ্য পছন্দ হচ্ছে না পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সালমান বাটের।
পাকিস্তানের হয়ে ২৪ টি-টোয়েন্টি খেলা সালমান মনে করেন, সব সময় ওপেনিং পজিশন নিয়ে একটু বেশিই কাটাছেঁড়া হয়, ‘আমি যখন খেলতাম, তখন মিডল অর্ডার পরিবর্তন করা হতো না, শুধু ওপেনিং পজিশনেই পরিবর্তন আসত। আমার খেলা ৭৮ ওয়ানডেতে মনে হয় ১৫ জনের সঙ্গে ওপেন করেছি। ওপেনিং ব্যাট করা সবচেয়ে কঠিন, অথচ সেই জায়গাটাই সবাই পরিবর্তন করতে চাচ্ছে। কেউ তো মিডল অর্ডার নিয়ে কথা বলে না। গত তিন বছরে মিডল অর্ডার আমাদের কয়টা ম্যাচ জিতিয়েছে।’
বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ওপেনার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাকিস্তানকে অনেক ম্যাচেই জিতিয়েছেন। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তো এই দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে প্রথমবার ভারতকে বিশ্বকাপ মঞ্চে হারিয়েছে, তা–ও ১০ উইকেটে। তবে মুদ্রার উল্টো পিঠও আছে। পাকিস্তান ম্যাচ হারলে দায়টাও এই দুই ব্যাটসম্যানের ওপরই বেশি পড়ে।
সালমানের মতে, প্রতি ম্যাচ শেষে এই দুই ওপেনারকে কাঠগড়ায় তোলা ঠিক নয়, ‘ওরা দুজনই খুব ধারাবাহিক। ওদের নিয়েই তো আমরা ২০০ রান তাড়া করেছি। যখনই ম্যাচ জেতে তখনই তাঁদেরকে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যান বানানো হয়। আবার দুই ম্যাচ পারফর্ম না করলেই সবাই ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করতে চান। এমন কিন্তু প্রথমবার হচ্ছে না। প্রতিটি ম্যাচের পরেই কেন তাঁদেরকে বিচার করতে হবে?