লিওনেল মেসিকে নিয়ে পিএসজির সমর্থকদের মধ্যে কিছুদিন আগেও যে ঘোরলাগা বিস্ময় কাজ করত, সেটা কেটে গিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে ভালো খেলোয়াড়কে নিজের ক্লাবে পাওয়ার যে আনন্দ, যে অনির্বচনীয় অনুভূতি, সে জায়গা থেকে বেরিয়ে এসেছেন তাঁরা।
চ্যাম্পিয়নস লিগে ব্যর্থতা তাঁদের বাস্তবতার জমিনে নামিয়েছে। নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপার স্বাদ না পাওয়া পিএসজি এবার মেসিকে দলে টেনেও দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছে। এতে মেসির প্রতি অনুরাগের মাত্রা একটু হলেও কমেছে সমর্থকদের।
এর প্রমাণ দেখা গেছে লিগে বোর্দোর বিপক্ষে ম্যাচে। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নেওয়ার চার দিন পরই বোর্দোর বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন মেসিরা। সে ম্যাচে মেসি-নেইমারদের ইচ্ছেমতো দুয়ো দিয়েছেন পিএসজির সমর্থকেরা। ব্যাপারটা মোটেও হজম করতে পারছেন না বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি, পিএসজির সাবেক খেলোয়াড় রোনালদিনিও।
বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়কেই যদি সমর্থকেরা দুয়ো দেন, তাহলে প্রশংসা করবেন কাকে, এ প্রশ্নের উত্তরই খুঁজছেন সাবেক এই ফিফা বর্ষসেরা, ‘ব্যাপারটা একদমই আমার মাথায় ঢোকে না। আপনি যদি মেসিকেই দুয়ো দেন, তাহলে কিছুই বাকি থাকে না। আপনি যদি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়কেই দুয়ো দেন, তাহলে হাততালি দেবেন কাকে? একদমই বুঝতে পারি না আমি।’
তবে রোনালদিনিও বুঝেছেন, শুধু মেসি বা নেইমার নন, সমর্থকদের রাগ পিএসজির প্রত্যেক খেলোয়াড়ের ওপরেই, ‘এটা মেসি বা নেইমার-সংক্রান্ত কোনো সমস্যা নয়। চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বাদ পড়ায় সমর্থকদের কেউই খুশি নয়। তবে আমার মনে হয়, সমর্থকেরা পিএসজির প্রত্যেক খেলোয়াড়ের ওপরেই বিরক্ত, শুধু ওদের দুজনের ওপর নয়। ওরা পিএসজির সবচেয়ে বড় দুই নাম, তাই স্বাভাবিকভাবেই তারা বেশি দুয়ো হজম করছে। এটাই ফুটবল। আর ফুটবলে আবারও সবকিছু স্বাভাবিক হবে।’
রোনালদিনিও আশাবাদী, নিজ নিজ সমস্যা কাটিয়ে মেসি ও নেইমার পিএসজির হয়ে একের পর এক ট্রফি জেতা শুরু করবেন, ‘আশা করব, নেইমার যেন আর চোটে না পড়ে। কারণ ও প্রতিবছরই কিছু না কিছু জেতে, সেটা জাতীয় দলের হয়ে হোক বা ক্লাবের হয়ে। আরও আশা করব, পিএসজিতে মেসি যেন খুব দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে পারে। তাহলেই ওদের তিনজন পিএসজির হয়ে দুর্দান্ত একটা গল্প লিখতে পারবে।’