২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

তাঁরা ছিলেন, এখন নেই

আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া,নূরজাহান বেগম,ড. এম আর খান,সৈয়দ শামসুল হক,অজয় রায়,সাদেক খান,শহীদ কাদরী,আবদুল গফুর হালি,রবীন ঘোষ,রফিক আজাদ,খন্দকার নূরুল আলম,ফরিদ আলী,মোহাম্মদ ফারুক,রব ফকির,শহিদুল ইসলাম খোকন,খালেদ মাহমুদ মিঠু,পারভিন সুলতানা দিতি ও মাহবুবুল হক শাকিল
আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া,নূরজাহান বেগম,ড. এম আর খান,সৈয়দ শামসুল হক,অজয় রায়,সাদেক খান,শহীদ কাদরী,আবদুল গফুর হালি,রবীন ঘোষ,রফিক আজাদ,খন্দকার নূরুল আলম,ফরিদ আলী,মোহাম্মদ ফারুক,রব ফকির,শহিদুল ইসলাম খোকন,খালেদ মাহমুদ মিঠু,পারভিন সুলতানা দিতি ও মাহবুবুল হক শাকিল

মৃত্যু জীবনের পরম পরিণতি। সেই পরিণতি বরণ করে গত বছর অনেক মানুষ চলে গেছেন আমাদের ছেড়ে।  গত বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রের অনেক কৃতী মানুষকে দেশ হারিয়েছে। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজনের কথাই এখানে তুলে ধরা গেল।

 ‘চোখ যে মনের কথা বলে’, ‘তুমি এমনি জাল পেতেছ সংসারে’, ‘আমি চাঁদকে বলেছি আজ রাতে’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের সুরস্রষ্টা সংগীতজ্ঞ খন্দকার নূরুল আলম চলে গেছেন বছরের শুরুতেই, ২২ জানুয়ারি।

বিখ্যাত সংগীত পরিচালক রবীন ঘোষ পরলোকগমন করেন ১৩ ফেব্রুয়ারি।

ইরাকের বাগদাদে তাঁর জন্ম হয়েছিল ১৯৩৯ সালে। তিনি ১৯৫০ সালে পূর্ব পাকিস্তান রেডিওতে সংগীতে যোগ দেন। চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালক হিসেবে তাঁর অভিষেক প্রখ্যাত নির্মাতা এহতেশামের হাত ধরে। ‘তোমারে লেগেছে এত যে ভালো (তালাত মাহমুদ)’, ‘আয়নাতে ওই মুখ দেখবে যখন’, ‘পিচঢালা এই পথটারে ভালোবেসেছি’, ‘ফুলের কানে ভ্রমর এসে’, পেয়ার ভারে দোসর মিলনে ম্যায়’ (মেহেদী হাসান) সহ অনেক কালজয়ী গানের সুর করেছেন তিনি। সংগীত পরিচালক হিসেবে তাঁর প্রথম ছবি রাজধানীর বুকে। উর্দু ছবিতে সেরা সংগীত পরিচালক হিসেবে তিনি পাঁচ-পাঁচবার পাকিস্তানের ‘নিগার’ পুরস্কার পান। তাঁর সংগীত পরিচালনায় কয়েকটি বাংলা ছবি তালাশ, পয়সা, চকোরী, পিচঢালা পথ, নাচের পুতুল

দেশের প্রত্নতত্ত্বচর্চার পথিকৃৎ বলে খ্যাত আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগে ৯৭ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন ২৪ ফেব্রুয়ারি। এই প্রত্নতত্ত্ব ও পুঁথিসাহিত্যবিশারদ পেশায় ছিলেন শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব। তিনি ২০০৬ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে গবেষণার জন্য ২০১৫ সালে একুশে পদক পান। বাংলাদেশে প্রত্নসম্পদ তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ। এ ছাড়া অনেক গ্রন্থ রচনা ও অনুবাদ করেছেন তিনি।

মার্চের প্রথম সপ্তাহে বাড়ি ফেরার পথে রিকশার ওপর হঠাৎ গাছ উপড়ে পড়ে ঢাকার ধানমন্ডিতে ৫৫ বছর বয়সে মারা যান চিত্রশিল্পী ও চলচ্চিত্রনির্মাতা খালেদ মাহমুদ মিঠু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে ১৯৮৬ সালে এমএফএ করেন তিনি। গহীনে শব্দ নামে নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্রের জন্য তিনি ২০১০ সালে সেরা পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। তিনি অনেকগুলো একক ও যৌথ শিল্পকর্ম প্রদর্শনী করেছিলেন।

বিশিষ্ট কবি ও মুক্তিযোদ্ধা রফিক আজাদও চলে গেছেন মার্চেই, ১২ তারিখে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কার, কবি আলাওল পুরস্কার, কবি আহসান হাবিব পুরস্কার, কবি হাসান হাফিজুর রহমান পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তাঁর জন্ম ১৯৪১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল জেলায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৭ সালে বাংলায় স্নাতকোত্তর। কর্মজীবনের শুরু শিক্ষকতা দিয়ে, পরে বাংলা একাডেমিতে। বাংলা একাডেমির পত্রিকা উত্তরাধিকার, সাপ্তাহিক রোববার সম্পাদনা করেছেন। অসম্ভবের পায়ে, সীমাবদ্ধ জলে, সীমিত সবুজে, নির্বাচিত কবিতা, চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া তাঁর কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ।

চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পারভিন সুলতানা দিতি মস্তিষ্কের ক্যানসারে ভুগে মারা যান ২০ মার্চ। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে তাঁর জন্ম ১৯৬৫ সালে। তিনি প্রায় ২০০ চলচ্চিত্র ও অনেক টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। হীরামতি, দুই জীবন তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

চলচ্চিত্রনির্মাতা শহিদুল ইসলাম খোকন পৃথিবীকে বিদায় জানিয়েছেন ৪ এপ্রিল। তাঁর প্রথম ছবি রক্তের বন্দী, পরিচালনা করেছেন ৪০টি ছবি। পালাবি কোথায়, ঘাতক, লাল সবুজ, ম্যাডাম ফুলি ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র।

১৬ মে ৮৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন সাংবাদিক ও শিল্পসমালোচক সাদেক খান। তিনি বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী ছিলেন। গত শতকের পঞ্চাশের দশকে সাংবাদিকতা শুরু করেন। তরুণ বয়সে চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। ষাটের দশকে নদী ও নারী নামে একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন তিনি। তাঁর বাবা বিচারপতি আবদুল জব্বার খান ষাটের দশকে পাকিস্তান গণপরিষদের স্পিকার ছিলেন।

নারী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ বেগম পত্রিকার সম্পাদক নূরজাহান বেগম ৯১ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ২৩ মে। তিনি ১৯৪২ সালে ম্যাট্রিক, ১৯৪৪ সালে আইএ ও ১৯৪৬ সালে বিএ পাস করেন। কলকাতা থেকে ১৯৪৭ সালের ২০ জুলাই বেগম পত্রিকা প্রকাশিত হয়। প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন কবি বেগম সুফিয়া কামাল। পরে নূরজাহান বেগম সম্পাদনার দায়িত্ব নেন। ভারত ভাগের পর ১৯৫০ সালে বেগম ঢাকায় চলে আসে। বেগম ছিল বাংলায় প্রথম সচিত্র নারী সাপ্তাহিক। নারীর উন্নয়নে অবদান রাখায় নূরজাহান বেগম বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ পুরস্কার, বেগম রোকেয়া পদকসহ বহু পুরস্কার ও পদকে সম্মানিত হয়েছেন।

বিখ্যাত লালনশিল্পী রব ফকির আগস্টের ৬ তারিখে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর জন্ম কুষ্টিয়ায়, ১৯৫৫ সালে। দোতারার সঙ্গে ছিল তাঁর আত্মার যোগ। দেশে-বিদেশে বহু অনুষ্ঠানে লালনের গান গেয়ে শ্রোতাদের মন জয় করেছেন। শব্দের ঘরেশিকড় তাঁর উল্লেখযোগ্য গানের অ্যালবাম।

অভিনেতা ফরিদ আলি মারা যান ২২ আগস্ট। তিনি মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্রে অভিনয় ছাড়া নাটক রচনাও করেছেন। তিনি কৌতুক অভিনেতা হিসেবে জনপ্রিয় ছিলেন।

দীর্ঘদিন প্রবাসী কবি শহীদ কাদরী ২৮ আগস্ট নিউইয়র্কে মৃত্যুবরণ করেন ৭৪ বছর বয়সে। তিনি আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান কবি হিসেবে স্বীকৃত। উত্তরাধিকার, তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমাকোথাও কোনো ক্রন্দন নেই এই তিনটি কাব্যগ্রন্থ রচনা করে তিনি বাংলা কবিতায় স্থায়ী আসন করে নেন। শহীদ কাদরী ইংল্যান্ড ও জার্মানি ঘুরে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। কবির অন্তিম ইচ্ছা অনুসারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাঁর মৃতদেহ ঢাকায় আনার ব্যবস্থা করেন। মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে তাঁকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদকসহ বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন।

উপন্যাস, গল্প, কবিতা, নাটক, প্রবন্ধ, শিশুতোষ রচনা, চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য, সংগীত রচনা, অনুবাদসহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় প্রতিভার অনন্য স্বাক্ষর রেখেছেন সৈয়দ শামসুল হক। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ‘সব্যসাচী’ লেখক বলে খ্যাত সৈয়দ হকের জন্ম হয়েছিল ১৯৩৫ সালে, কুড়িগ্রামে। পেশাগত জীবন শুরু করেছিলেন সাংবাদিক হিসেবে, বিবিসিতে কাজ ক​েরছেন। তাঁর প্রকাশিত দুই শতাধিক বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উপন্যাস খেলারাম খেলে যা, নিষিদ্ধ লোবান, বৃষ্টি ও বিদ্রোহীগণ, নাটক পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়, নূরলদীনের সারাজীবন, কাব্যগ্রন্থ পরানের গহিন ভেতর, বৈশাখে রচিত পংক্তিমালা। তিনি স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।

মোহাম্মদ ফারুক ছিলেন নেপথ্যের কর্মী। বাংলাদেশের নাটক ও চলচ্চিত্রের বিশিষ্ট রূপসজ্জাশিল্পী ফারুক ইন্তেকাল করেন ২ অক্টোবর। বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। তিনি পেশাদার রূপসজ্জাশিল্পী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন ১৯৬৫ সাল থেকে। বহু বিখ্যাত চলচ্চিত্র ও নাটকে কাজ করেছেন তিনি।

বামপন্থী রাজনীতিবিদ অজয় রায় ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ১৭ অক্টোবর। তিনি ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন ও স্বাধিকারের আন্দোলনে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সংগঠকের ভূমিকা পালন করেছেন। সামাজিক-সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সক্রিয় থেকেছেন, সংবাদপত্রে কলাম ও রাজনীতি অর্থনীতি বিষয়ে গ্রন্থ রচনা করেছেন। সর্বশেষ সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি এবং সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদবিরোধী মঞ্চের সমন্বয়ক ছিলেন।

শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ জাতীয় অধ্যাপক এম আর খান ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ৫ নভেম্বর। তাঁর পুরো নাম মোহাম্মদ রফি খান। বাংলাদেশে শিশুরোগ চিকিৎসায় তিনি ছিলেন পথিকৃৎ। তাঁকে বলা হয় ‘ফাদার অব পেডিয়াট্রিশিয়ান অ্যান্ড ইনস্টিটিউশন’।

সাতক্ষীরার রসুলপুরে ১৯২৮ সালের ১ আগস্ট জন্ম। কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৫২ সালে এমবিবিএস পাস করেন। ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন; ম্যানচেস্টার, কেন্ট ও এডিনবরা হাসপাতালে কাজ করেছেন। পরে দেশে ফিরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পদে যোগ দেন। এখানেই ১৯৬৯ সালে শিশু বিভাগে যোগ দেন। ১৯৭৮ সালে ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক হন। এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। পরে আইপিজিএমআর’এ শিশু বিভাগেও কাজ করেছেন। অবসর নেন ১৯৮৮ সালে। তবে চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রাখেন। মিরপুরে ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ অ্যান্ড শিশু স্বাস্থ্য ফাউন্ডেশন হসপিটাল, সাতক্ষীরায় ও যশোরে শিশু হাসপাতাল গড়ে তোলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। গড়ে তুলেছেন নিবেদিতা মেডিকেল ইনস্টিটিউট অ্যান্ড রিসার্চ লিমিটেড।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ও কবি মাহবুবুল হক শাকিল অকালপ্রয়াত হয়েছেন গত ৬ ডিসেম্বর। রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় তিনি ইন্তেকাল করেন। তাঁর জন্ম ময়মনসিংহে, ১৯৬৮ সালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকল্যাণে স্নাতকোত্তর। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ দুটি খেরোখাতার পাতা থেকে এবং মন খারাপের গাড়ী

২১ ডিসেম্বর ৮৯ বছর বয়সে  চলে গেলেন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ও মাইজভান্ডারির গানের গীতিকার সংগীতজ্ঞ গফুর হালি। তিনি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের প্রধান গীতিকার ছিলেন। স্বতন্ত্র সংগীতধারা সৃষ্টি করেছিলেন। ‘মনের বাগানে ফুটিল ফুল রে’, ‘সোনাবন্ধু তুই আমারে’, ‘পাঞ্জাবীওয়ালা’, ‘অ বানু, বানু রে’, ‘দেখে যারে মাইজভান্ডারে’সহ দুই হাজারের বেশি গান লিখেছেন। তাঁর লেখা ৭৬টি মাইজভান্ডারির গান জার্মান ভাষায় অনূদিত হয়েছে। জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হান্স হার্ডর তাঁকে নিয়ে লিখেছেন দীর্ঘ গবেষণা প্রবন্ধ ‘ডার ফেরুখট গফুর স্পিরখ’। স্বশিক্ষিত গফুর হালির প্রকাশিত গীতিকাব্য চারটি। গানের পাশাপাশি তিনি নাটকও রচনা করেছেন। নাটক সমগ্র নামে একটি গ্রন্থও প্রকাশিত হয়েছে।

আশীষ-উর-রহমান: সাংবাদিক