সৎসঙ্গ কেন গ্রহণ করবেন
সঙ্গী নির্বাচন জরুরি বিষয়। সৎ লোকদের বন্ধু বানালে সেই বন্ধুত্ব ইহকাল ও পরকাল দুই সময়েই কাজে আসবে। কোরআনে আছে, ‘সেদিন (কেয়ামতের দিন) বন্ধুরা পরস্পরের শত্রু হয়ে যাবে সাবধানী ছাড়া।’ (সুরা জুখরুফ, আয়াত: ৬৭)
সৎ ও আল্লাহভীরু লোকদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে তাদের সঙ্গ থেকে ভালো ফল পাওয়া যায়। তাদের ভালো গুণ, স্বভাব ও চরিত্র ধীরে ধীরে নিজের মধ্যে প্রতিফলিত হয়। কোরআনে আছে: ‘বিশ্বাসীগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গ গ্রহণকারী হও।’ (সুরা তওবা, আয়াত: ১১৯)
অসৎ লোকদের বন্ধু বানালে কেয়ামত দিবসে আক্ষেপের অন্ত থাকবে না। কোরআনে এক ব্যক্তির বর্ণনা আছে, যে প্রথম দিকে ইসলামের পথে ছিল, বন্ধুদের মান রাখতে গিয়ে মহানবীর (সা.) মন্দ আচরণ করেছে, সে চিৎকার করে বলবে ‘হায়, আমার দুর্ভাগ্য! আমি যদি অমুক-অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম। আমার কাছে উপদেশ (কোরআন) পৌঁছানোর পর সে আমাকে বিভ্রান্ত করেছিল।’ শয়তান তো মানুষকে বিপদের সময় ছেড়ে চলে যায়। (সুরা ফুরকান, আয়াত: ২৮-২৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.) সঙ্গী গ্রহণের বিষয়টি চমৎকার উপমা দিয়ে বুঝিয়েছেন যে, ‘সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উপমা সুগন্ধি বিক্রেতা ও কামারের হাঁপরের মতো। সুগন্ধি বিক্রেতার কাছ থেকে হয় তুমি নিজে সুগন্ধি খরিদ করবে, না হয় এমনিতে এর ঘ্রাণ পাবে। আর কামারের হাঁপর হয় তোমার শরীর অথবা কাপড় পুড়িয়ে দেবে, আর না হয় তুমি তার ধোঁয়া পাবে।’ (বুখারি, হাদিস: ১,৯৭১)