প্রতিবেশীকে কষ্ট দিলে জান্নাতে যাওয়া যাবে না

মানুষকে যেহেতু প্রতিবেশীকে ‘ইহসান’ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এটাই বলে দেয় যে, প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আরও বেশি করেই।

রাসুল (সা.) প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়া থেকে সতর্ক করেছেন।

আবু শুরাইহ (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর শপথ সে মুমিন নয়; আল্লাহর শপথ সে মুমিন নয়; আল্লাহর কসম, সে মুমিন নয়।’ জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘আল্লাহর রাসুল, কে মুমিন নয়? তিনি বললেন, যার পীড়ন থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,০১৬)

আবু হোরায়রা (রা.)-র পক্ষ থেকেও একই রকম একটি বর্ণিত হয়েছে, যেখানে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সেই ব্যক্তি বেহেশতে প্রবেশ করবে না, যার পীড়ন থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয়।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৪৬)

আরও পড়ুন

তিনি আরও বলেন, ‘নবীজিকে জিজ্ঞাসা করা হলো, আল্লাহর রাসুল, অমুক নারী রাতভর ইবাদত করেন, দিনভর রোজা রাখেন, বহু সৎকাজ করেন এবং প্রচুর সদকা করেন। কিন্তু প্রতিবেশীকে মুখের কথায় কষ্ট দেন। রাসুল (সা.) বললেন, তার মধ্যে কোনো কল্যাণ নেই। সে আগুনের অধিবাসী হবে। (আল-আদাবুল মুফরাদ, ইমাম বুখারি, হাদিস: ১১৯)

তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,০১৮)

প্রতিবেশীর যদি কষ্ট দেয়

প্রতিবেশীর অধিকার আদায়ের সম্পূর্ণতা হলো, তার দেওয়া কষ্ট সহ্য করা, তার সঙ্গে কোমল আচরণ করা এবং তার কল্যাণ কামনা করা।

এক ব্যক্তি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-কে বললেন, ‘আমার এক প্রতিবেশী আছে, সে আমাকে কষ্ট দেয়, আমাকে গালমন্দ করে, আমাকে সংকীর্ণ অবস্থায় ফেলে।’ ইবনে মাসউদ (রা.) বললেন, ‘সে তোমার ব্যাপারে আল্লাহর অবাধ্যতা করছে বটে, কিন্তু তুমি তার ব্যাপারে আল্লাহর আদেশ অমান্য করো না।’ (ইহইয়াউ উলুম আদ-দীন, ২/২১২)

আরও পড়ুন