ইসলাম অন্যের গোপন দোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে

আল্লাহ বলেছেন, তোমরা অন্যের গোপন বিষয় অনুসন্ধান কোরো না। (সুরা হুজুরাত, আয়াত: ১২) যারা বিনা অপরাধে বিশ্বাসী পুরুষ ও নারীদের কষ্ট দেয়, তারা অবশ্যই মিথ্যা অপবাদ এবং স্পষ্ট অপরাধের বোঝা বহন করে। (সুরা আহযাব, আয়াত: ৫৮)

হজরত আবু হুরায়রা (রা.)-র বরাতে এই হাদিসের বর্ণনা আছে।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা মন্দ ধারণা পোষণ করা থেকে বিরত থাকো। কারণ, মন্দ ধারণা সবচেয়ে বড় অসত্য। অন্যের গোপন দোষ খুঁজে বেড়িয়ো না, অন্যের ব্যাপারে গুপ্তচরবৃত্তি কোরো না, একে অপরের সঙ্গে (অসৎ কাজে) প্রতিদ্বন্দ্বিতা কোরো না, পরস্পরকে হিংসা কোরো না, পরস্পরের বিদ্বেষ কোরো না, একে অন্যের বিরুদ্ধে শত্রুতা পুষো না। তোমরা আল্লাহর বান্দা, ভাই ভাই হয়ে যাও; যেমন তিনি তোমাদের আদেশ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন

তিনি আরও বলেছেন, এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। তার ওপর জুলুম কোরো না, তাকে অসহায় অবস্থায় ছেড়ে দিও না এবং তাকে তুচ্ছ ভেবো না। এখানে আল্লাহভীতি রয়েছে। (তিনি নিজের বুকের দিকে ইঙ্গিত করলেন।) কোনো মুসলমান ভাইকে তাচ্ছিল্য করা মন্দ হওয়ার জন্য যথেষ্ট। একজন মুসলমানের রক্ত, সম্ভ্রম ও সম্পদ আরেকজন মুসলমানের জন্য হারাম। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের শরীর ও আকার-আকৃতি দেখেন না, বরং তোমাদের হৃদয় ও কর্ম দেখেন।

আরও পড়ুন

অন্য এক বর্ণনায় তিনি বলেছেন, তোমরা পরস্পরকে হিংসা কোরো না, পরস্পরের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ কোরো না, অন্যের ব্যাপারে গুপ্তচরবৃত্তি কোরো না, অন্যের গোপন দোষ খুঁজে বেড়িয়ো না, পরস্পরের পণ্যদ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে দিয়ো না। তোমরা আল্লাহর বান্দা, ভাই ভাই হয়ে যাও।

অন্য আরেকটি বর্ণনায় আছে, তোমরা পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কছেদ করো না, একে অন্যের বিরুদ্ধে শত্রুতা রেখো না, পরস্পরের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ কোরো না, পরস্পরকে হিংসা কোরো না। তোমরা আল্লাহর বান্দা, ভাই ভাই হয়ে যাও।

ভিন্ন একটি বর্ণনায় আছে, ‘তোমরা একে অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন কোরো না এবং অন্যের ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর কেনাবেচা কোরো না।’ (বুখারি, হাদিস: ৫,১৪৩)

আরও পড়ুন