শিশুকিশোরের রোজার বিধান
শিশুদের ওপর রোজা ফরজ নয়। পালন করলে সওয়াব পাওয়া যাবে, ছেড়ে দিলে গুনাহ হবে না। (সালেহ আল-উসাইমিন, ফিকহুল ইবাদাত, ১৮৬)
ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, এক নারী তার শিশু সন্তানকে তুলে ধরে রাসুল (সা.)-এর কাছে জানতে চাইলেন, তার জন্য কি হজ আছে? রাসুল (সা.) বললেন, হ্যাঁ, এবং এজন্য সে সওয়াব পাবে। (মুসলিম, হাদিস: ১৩৩৬)
কখন শিশুর ওপর রোজা ফরজ
নামাজের মতোই রোজার বিধান। রাসুল (সা.) বলেছেন, সাত বছর হলে তোমরা তোমাদের সন্তানদের নামাজের আদেশ দাও, দশ বছর হলে তাদের এ জন্য প্রহার কর এবং তাদের মধ্যকার বিছানা পৃথক করে দাও। (আবু দাউদ, হাদিস: ৪৯৫; মুসনাদে আহমদ, ২/১৮৭)
গ্রহণযোগ্য মত হলো, ফরজ হওয়ার মানদণ্ড হলো সাবালকত্ব। সাবালক হওয়ার আগে কারও ওপর রোজা ফরজ নয়। (লাজনায়ে দায়েমা লিল-ইফতা, ফাতাওয়া নাম্বার ১৭৮৭)
শিশু রোজার জন্য জেদ করলে
শিশু বিনা কষ্টে রোজা রাখতে সক্ষম হলে তাকে রোজা রাখার সুযোগ দেওয়া উচিত। যদি সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, তার বয়স কম, স্বাস্থ্যও খারাপ, রোজা তার জন্য ক্ষতিকর, তবে তাকে রোজা না রাখার জন্য বলতে হবে। এমন অবস্থায় রোজা না রাখার জন্য তার ওপর কঠোরতাও আরোপ করা যাবে। (ইবনে উসাইমিন, ফাতাওয়া ও রাসায়েল, ১/৪৯৩)
শিশুর রোজা শুদ্ধ হওয়ার শর্ত
শিশুর রোজা শুদ্ধ হওয়ার জন্যও সেসব কিছুই শর্ত, যারা বড়দের জন্য শর্ত। তাকেও সেসব জিনিস থেকে বিরত থাকতে হবে, যার কারণে বড়দের রোজা নষ্ট হয়ে যায়। (আবদুল্লাহ ইবনে জাবরিন, ফাতাওয়াস সিয়াম, ৩৩)
শিশুর রোজার সাওয়াব
শিশুর রোজার সাওয়াব শিশু নিজেই লাভ করবে। তবে তার পিতা-মাতা রোজা শেখানোর কারণে সওয়াব পাবেন। (আবদুল্লাহ ইবনে জাবরিন, ফাতাওয়াস সিয়াম, ৩৩)