যদি মৃত ব্যক্তির রোজা কাজা থাকে
যার ওপর কাজা ওয়াজিব, এমন ব্যক্তি যদি পরবর্তী রমজান আগমনের পূর্বে মারা যায়, তাহলে তার ওপর কোনও কিছু ওয়াজিব হবে না। কেননা যে সময়ে মধ্যে সে মারা গেছে, ততটুকু সময় কাজা আদায়ের জন্য বিলম্ব করা বৈধ ছিল।
যদি ব্যক্তিটি নতুন রমজানের পর মারা যায় এবং তার বিলম্ব করাটাও অসুস্থতা বা সফরের কারণে হয়ে থাকে, তাহলেও তার দায় থাকবে না।
কিন্তু গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া বিলম্ব করলে এবং সে অবস্থায় মারা গেলে মৃত ব্যক্তির পরিত্যক্ত সম্পদ থেকে প্রতি দিনের জন্য ‘ফিদয়া’ দিতে হবে। অর্থাৎ, প্রতিটি রোজার জন্য একজন অভাবীকে খাবার দিতে হবে। সুতরাং এমন ব্যক্তির জন্য ‘ফিদয়া’র অসিয়ত করা যাওয়া ওয়াজিব। (রদ্দুল মুহতার, ২/৪২৩-৪২৪)
তবে মানতের রোজা থাকলে ওয়ারিশদের জন্য মৃতব্যক্তির পক্ষ থেতে রোজা রাখা মুস্তাহাব। হাদিসে বর্ণিত আছে. ‘জনৈক ব্যক্তি রাসুল (সা).-এর কাছে এসে বলল, আমার মা মানতের রোজা পালন না করে মারা গেছেন, আমি কি তার পক্ষ থেকে রোজা পালন করতে পারি?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ (বুখারি, হাদিস: ১,৯৫৩; মুসলিম, হাদিস: ১,১৪৭)