জান্নাতে যাওয়ার জন্য কোরআনের কিছু ইঙ্গিত
মৃত্যুর পর সবাই বেহেশতে যাওয়ার প্রত্যাশা করেন। দুনিয়াতে বেঁচে থাকা অবস্থায় যেসব কাজ করলে শেষ বিচারের দিনে বেহেশত প্রত্যাশা করা যায়, তার কিছু ইঙ্গিত কোরআনে দেওয়া হয়েছে।
কোরআনে বলা হয়েছে, ‘অবশ্যই সফলকাম হয়েছে বিশ্বাসীরা। যারা নিজেদের নামাজে বিনয়–নম্র, যারা অসার ক্রিয়াকলাপ থেকে বিরত থাকে, যারা জাকাতদানে সক্রিয় এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। তবে নিজেদের স্ত্রী বা ডান হাতের তাঁবের দাসীদের ক্ষেত্রে অন্যথা করলে তারা নিন্দনীয় হবে না। অবশ্য কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমালঙ্ঘন করবে। আর যারা আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে, আর যারা নিজদের নামাজে যত্নবান, তারাই হবে অধিকারী। অধিকারী হবে ফিরদাউসের যেখানে ওরা চিরকাল থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন আয়াত: ১–১১)
নামাজের সব নিয়ম ঠিকমতো আদায় করতে হবে। মন দিয়ে নামাজ পড়তে হবে। রুকু-সিজদা থেকে শুরু করে নামাজে কোনো তাড়াহুড়ো করা যাবে না।
অনর্থক বিষয়, যেমন কুৎসা ও প্রতারণা দুনিয়া ও আখিরাতের সব জায়গায় অকল্যাণ বয়ে আনে। এ ধরনের কাজ মানুষকে আল্লাহর কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে এবং মৃত্যুর বাস্তবতা ভুলিয়ে দেয়। তাই এসব কার্যকলাপ বর্জন করতে হবে।
সব সমর্থ মুসলমানের জন্য জাকাত ফরজ হয়েছে। সে বিষয়ে হিসাব রাখতে হবে এবং যথাযথ নিয়মে জাকাত দিতে হবে।
অবশ্যই সফলকাম হয়েছে বিশ্বাসীরা। যারা নিজেদের নামাজে বিনয়–নম্র, যারা অসার ক্রিয়াকলাপ থেকে বিরত থাকে, যারা জাকাতদানে সক্রিয় এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। তবে নিজেদের স্ত্রী বা ডান হাতের তাঁবের দাসীদের ক্ষেত্রে অন্যথা করলে তারা নিন্দনীয় হবে না।
যৌন বাসনাকে সংযত রাখতে হবে। তবে নিজেদের স্ত্রীদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না। এদের ছাড়া অন্য কাউকে কামনা করলে সীমা লঙ্ঘন করা হবে।
সম্পদের আমানতের পাশাপাশি মানুষের কথার আমানত রক্ষা করে চলতে হবে। নিজের ওপরে ন্যস্ত অন্যের কর্তব্য পালন এবং গোপন কথা ও সম্পদের আমানতের হেফাজত করা কর্তব্য। কাউকে কথা দিলে তাও রক্ষা করা উচিত।
নামাজের ওয়াক্ত হলে নামাজে নিয়মিত হাজির হতে হবে। নিয়ম–কানুন মেনে নামাজ পড়তে হবে।