রোজার কাজা কখন আদায় করবেন
যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি কাজা আদায় করা মুস্তাহাব। কেননা এর দায় তার ওপর রয়ে গেছে। যতদিনের রোজা রাখা হয়নি, সে কয়দিন টানা কাজা আদায় করা মুস্তাহাব। কেননা যা কাজা হয়, তা মূল রোজারই স্থলাভিষিক্ত। যদি সঙ্গে সঙ্গে কাজা আদায় করার সুযোগ না থাকে, তাহলে অন্তত কাজা করার প্রবল ইচ্ছা পোষণ করতে হবে।
বিলম্ব করে কাজা আদায় করাও বৈধ। অনুরূপভাবে বিরতি দিয়েও রোজা কাজা করা জায়েজ।
কিন্তু যদি শাবান মাসের মাত্র এমন কয়েকদিন বাকি থাকে, যে কয়দিনের রোজা তার কাজা হয়েছে, এরপরই যেহেতু পুনরায় পরবর্তী রমজান এসে যাবে, তাই তখন সর্বসম্মতিক্রমে তার ওপর ধারাবাহিকতা রক্ষা করে কাজা আদায় করা অপরিহার্য হবে। কোনো গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া পরবর্তী রমজানের পর পর্যন্ত কাজা রোজা পিছিয়ে দেওয়া বৈধ হবে না।
সুতরাং যদি গ্রহণযোগ্য কারণে সে-সময় কাজা আদায় করতে সক্ষম না হয় তাহলে রমজানের শুধু কাজা আদায় করলেই হবে। কিন্তু এমনি দেরি করা হয়, তাহলে কাজাসহ প্রতিদিনের পরিবর্তে একজন মিসকিনকে ‘ফিদয়া’ দিতে হবে। অর্থাৎ, প্রতিদিনের জন্য একজন অভাবীকে খাবার দিতে হবে।
যদি কাজা আদায় না করা অবস্থায় পরবর্তী রমজান মাস এসেই যায়, তাহলে প্রথমে রমজানের রোজা পালন করবে এবং পরে কাজা আদায় করেতে হবে।
(বুখারি, হাদিস: ১৯৫০; মুসলিম, হাদিস: ১১৪৬)