আস্তাগফিরুল্লাহ যেভাবে করা যায়

প্রতীকী ছবি

আস্তাগফিরুল্লাহা রাব্বি মিন কুল্লি জাম্বিওঁ ওয়া আতুবু ইলাইহি; লা হাওলা ওয়া লা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম।

' অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই আমার সব পাপের, আমি তাঁর কাছে ফিরে আসি। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া গুনাহ থেকে বাঁচার ও নেক কাজ করার কোনোই শক্তি নেই। (মুসলিম ও তিরমিজি)।

আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি।’

অর্থাৎ, আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর কাছেই ফিরে আসছি। এই ইসতেগফারটি প্রতিদিন ৭০ থেকে একশবার পড়কে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতিদিন সত্তরবারের বেশি তওবাহ ও ইসতেগফার করতেন।’ (বুখারি)

আস্তাগফিরুল্লাহ অর্থ

‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ অর্থ ‘আমি আল্লাহর ক্ষমাপ্রার্থনা করছি’। প্রতি ওয়াক্ত ফরজ নামাজের সালাম ফেরানোর পর রাসুলুল্লাহ (সা.) এ ইসতেগফারটি ৩ বার পড়তেন।’ (মিশকাত)

আরও পড়ুন

‘রাব্বিগ্ ফিরলি ওয়া তুব আলাইয়্যা ইন্নাকা (আংতাত) তাওয়্যাবুর রাহিম।’

অর্থাৎ ‘হে আমার প্রভু! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তওবাহ কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি মহান তওবা কবুলকারী করুণাময়।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) মসজিদে বসে এক বৈঠকেই এই দোয়া ১০০ বার পড়েছেন।’ (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)

দিনের যেকোনো ইবাদত-বন্দেগি, তথা ক্ষমাপ্রার্থনার সময় এভাবে তওবা- ইস্তিগফার করতে হবে। ‘আস্তাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলায়হি।’ অর্থাৎ ‘আমি ওই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোনো মাবুদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছেই (তওবাহ করে) ফিরে আসি।’ হাদিসে আছে, এভাবে তওবাহ-ইসতেগফার করলে আল্লাহ–তাআলা তাঁকে ক্ষমা করে দেবেন, যদি সে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়নকারীও হয়।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, মিশকাত)

এ ইস্তিগফার সকাল ও সন্ধ্যায় করা কর্তব্য। ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর ইস্তিগফার পড়তে যেন ভুল না হয়। কারণ হাদিসে আছে, যে ব্যক্তি এ ইস্তিগফার সকালে পড়ে সন্ধ্যার আগে মারা যায়, কিংবা সন্ধ্যায় পড়ে সকাল হওয়ার আগে মারা যায়, তবে সে জান্নাতে যাবে। (বুখারি) ‘রাব্বিগফির, ওয়ারহাম ওয়া আংতা খাইরুর রাহিমিন।’

আরও পড়ুন

অন্য হাদিসে আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর শপথ! নিশ্চয় আমি প্রতিদিন ৭০ বারের বেশিবার আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই এবং তওবা করি।

‘আসতাগফিরুল্লাহ ওয়া আতুবু ইলাইহি’, বিশেষ করে ক্ষমা, রিজিকের সন্ধান ও বরকত পেতে এই দোয়াটি বেশি বেশি করে পড়া যায়, ‘রাব্বিগফিরলি জুনুবি, ওয়াফতাহলি আবওয়াবা ফাদলিকা।’ এর অর্থ, ‘হে আমার রব! আমার গুনাহ্‌গুলো ক্ষমা করে দাও। আর আমার জন্য তোমার অনুগ্রহের দরজা খুলে দাও।’ (তিরমিজি)

 ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুওয়ুন; তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফু আন্নি।’

এর অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন। (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)

আসতাগফিরুল্লাহাল আজিম ইন্নাল্লাহা গাফুরুর রাহিম।’

এর অর্থ: মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু। আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুসলিমাকে তওবা করে ক্ষমা পাওয়ার সুযোগ দিন।

আরও পড়ুন