চলছে মহাসপ্তমী
মহাসপ্তমী পূজা আজ শুক্রবার সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামীকাল শনিবার ঢাকায় কুমারী পূজা হবে না। তবে দুপুর ১২টা ১ মিনিটে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে করোনা মহামারি থেকে মুক্তি এবং সবার সুস্থতা কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় মন্দিরের সঙ্গে একই সময় এই প্রার্থনা দেশের সব কটি পূজামণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে। এবার সারা দেশে ৩০ হাজার ২১৩টি এবং রাজধানীতে ২৩২টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজার আনুষ্ঠানিকতা চলে। এবার পূজার পরিবেশ যেমন নিরানন্দ, তেমনি প্রতিমাশিল্পীরাও পড়েছেন অর্থকষ্টে। করোনার কারণে সব মন্দিরেই এবার বাজেট কম, তাই বরাবরের তুলনায় তিন ভাগের দুই ভাগ মজুরি পেয়েছেন প্রতিমাশিল্পীরা।
গতকাল বিকেলে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে ঢাকা মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কিশোর রঞ্জন মণ্ডল প্রথম আলোকে জানান, গতকাল সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে বেলতলা পূজার মধ্য দিয়ে দেবীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ষষ্ঠী পূজা সম্পন্ন হয়।
এরপর সারা দিন মন্দিরের ঝাঁপ বন্ধই ছিল। সন্ধ্যা ছয়টার পর ছিল চক্ষুদানের ভেতর দিয়ে প্রতিমায় প্রাণ প্রতিষ্ঠা, সান্ধ্য পূজা ও আরতি। তিনি জানান, বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে, শুক্রবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে সরাসরি অঞ্জলি প্রদান সম্প্রচার করা হবে। যাঁরা মন্দিরে আসতে চান না, সেই ভক্তরা এই অনুষ্ঠান দেখে তাঁদের নিজ নিজ বাড়িতে থাকা ঘট ও মন্দিরে প্রতিমায় ফুল দিয়ে অঞ্জলি দিতে পারবেন।
ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শ দুয়েক লোকসমাগম ঘটেছিল বলে মন্দির সূত্রে জানা গেল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল মন্দিরে এবার ক্যাম্পাসের বাইরের লোকজনের প্রবেশ নিষেধ। রমনা কালীমন্দির আর সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরেও প্রায় নিরিবিলি পরিবেশ।