লোভে পড়ে সরকার দেশের সব অর্জন ব্যর্থ করে দিচ্ছে: মোশাররফ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এই সরকার শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য লোভে পড়ে দেশের সব অর্জন ব্যর্থ করে দিচ্ছে।
আজ সোমবার বিকেলে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিএনপির এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরের প্রাক্কালে বেদনার সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি, একু্শের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা, স্বাধীনতার প্রত্যাশা আজ ভূলুণ্ঠিত। কারা ভূলুণ্ঠিত করেছে? আজকে যারা সরকারে, তারা শুধু গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য এভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। দেশের বিচারব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে, দলীয়করণ করে দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়ে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে পরিচালিত করছে।’
বিরোধী দলকে এই সরকার দাবিয়ে রাখার জন্য সবকিছু করছে, উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এক লাখের ওপরে মামলা, ৩৫ লাখের ওপরে আসামি। গুম-খুন-বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
খালেদা জিয়াকে একটি বানোয়াট মামলায় সাজা দিয়ে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন সরকারকে অত্যন্ত দুর্বল বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে দুর্বল ভাবার কোনো কারণ নাই। বিএনপি যদি দুর্বল হবে, তাহলে ২৯ তারিখ (৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের আগের রাত) রাতে আপনারা ভোট ডাকাতি করেছেন কেন? কারণ আপনারা বিএনপিকে ভয় পান, জনগণকে ভয় পান।’
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে আন্দোলনের জন্য জনগণকে ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান খন্দকার মোশাররফ।
দেশটা স্বাধীন কাগজে-কলমে, কিন্তু আমরা পরাধীন
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিগত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ অর্জন আমাদের ভাষার অধিকার, তেমনি শ্রেষ্ঠ অর্জন ছিল স্বাধীনতা প্রাপ্তি। যেই স্বাধীনতার আড়ালে ছিল একটি চিন্তা—গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, সেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাটা আমরা এখনো প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি। গণতন্ত্রবিহীন রাষ্ট্রে বসবাস করা আর পরাধীন দেশের নাগরিকের সঙ্গে খুব একটা আলাদা ভাবা যায় না। দেশটা স্বাধীন কাগজে-কলমে, কিন্তু আমরা পরাধীন।’
জোর করে ইতিহাস লেখা যায় না
স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন কারা করেছেন, সেটা আমরা সবাই জানি। আজকে নতুন নতুন নাম শুনি, তারা নাকি একু্শে ভাষা আন্দোলনে বিরাট ভূমিকা পালন করেছিলেন। আমি তাঁদের নাম উল্লেখ করতে চাই না। শুধু এইটুকু বলব, জোর করে ইতিহাস লেখা যায় না।’
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ, সেলিমা রহমান।