সয়াবিন তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীতে সমাবেশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। সেখানে দলটির নেতারা বলেন, সরকার লুটপাটের দায় সাধারণ মানুষের কাঁধে চাপিয়ে দিচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে সয়াবিন তেলের দাম একলাফে প্রতি লিটারে ৩৮ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
বাজারে ভোজ্যতেলের সংকট দেখা দেওয়ার মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে মিল মালিকদের বৈঠকে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটারে ৩৮ টাকা, খোলা সয়াবিন ৪৪ টাকা এবং পাম তেলের দাম লিটারে ৪২ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে পল্টন মোড়ে সমাবেশে সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ঈদের পর এক দিনের জন্য সরকারি অফিস–আদালত খুলেছিল। সেই দিনে সরকারের সবচেয়ে অগ্রাধিকারভিত্তিক কাজ হিসেবে ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘বিনা ভোটের সরকার’ দেশের মানুষকে আজ ভাতে মারতে চলেছে। তিনি বলেন, গণবিরোধী সরকার আর অবৈধ সিন্ডিকেটের যোগসাজশে জনগণের পকেট কাটার মহোৎসব চলছে। ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী তাদের লুটপাটের সব দায় জনসাধারণের কাঁধে চাপিয়ে যাচ্ছে।
এভাবে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর জন্য বাণিজ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন সিপিবি ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার। লুটপাট ও দুঃশাসনের অবসান ঘটানোর লড়াইয়ে দেশের সব বিবেকবান মানুষকে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সিপিবি ঢাকা দক্ষিণ শাখার সভাপতি শামসুজ্জামান হীরা সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। সমাবেশে বক্তব্য দেন সিপিবির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আক্তার হোসেন, সাইফুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ কমিটির সদস্য শংকর আচার্য, আবদুল কুদ্দুস প্রমুখ। তাঁদের অভিযোগ, সরকার লুটেরা, মুনাফাখোর, মজুতদারদের স্বার্থের ‘পাহারাদার’ হিসেবে ব্যবসায়ী-সিন্ডিকেটকে রক্ষা করে চলেছে। সাধারণ মানুষের প্রতি সরকার কোনো দায়বদ্ধতা দেখাচ্ছে না।