রাজ্জাকের পদত্যাগে 'ভুল' ভাঙল নেতার, জামায়াত থেকে পদত্যাগ
জামায়াতে ইসলামী থেকে ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের পদত্যাগের খবরে ‘ভুল’ ভেঙেছে তাঁর। সেই ‘ভুল’ শোধরাতেই জামায়াতে ইসলামী থেকে পদত্যাগ করলেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়ন জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মো. বখতিয়ার উদ্দিন।
বখতিয়ার উদ্দিন পেশায় একজন পল্লি চিকিৎসক। উপজেলা জামায়াতের আমিরের কাছে আজ শনিবার ডাকযোগে লিখিত পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। পদত্যাগের অনুলিপি জেলা জামায়াতের আমিরের কাছেও পাঠানো হয়েছে। পদত্যাগপত্রে বখতিয়ার লিখেছেন, স্বাধীনতার অনেক পরে ১৯৭৭ সালে তাঁর জন্ম। ১৯৯০ সালে তিনি জামায়াতে যোগদান করেন। তিনি ইসলামী ছাত্রশিবিরের নীলফামারী জেলা সংগঠনের সভাপতি ছিলেন।
বখতিয়ার পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, স্বাধীনতাযুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে তাঁর অস্পষ্টতা ছিল। কিন্তু গতকাল শুক্রবার দলের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও আইনজীবী আবদুর রাজ্জাকের পদত্যাগপত্র বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখে তিনি বুঝতে পেরেছেন জামায়াতে ইসলামী একটি স্বাধীনতাবিরোধী দল। তাই এ দেশের নাগরিক হয়ে স্বাধীনতাবিরোধী দলের সঙ্গে তিনি থাকতে চান না। একই সঙ্গে জামায়াতকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন বখতিয়ার উদ্দিন।
মতিউর রহমান নিজামীসহ যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতাদের সাবেক প্রধান কৌঁসুলি আবদুর রাজ্জাক এখন যুক্তরাজ্যে আছেন। সেখান থেকেই তিনি এই পদত্যাগের ঘোষণা দেন। পদত্যাগের জন্য তিনি সুনির্দিষ্ট করে দুটি কারণ উল্লেখ করেন। তিনি মনে করেন, জামায়াত ৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করার জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চায়নি। একবিংশ শতাব্দীর বাস্তবতার আলোকে এবং অন্যান্য মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনকে বিবেচনায় এনে নিজেদের সংস্কার করতে পারেনি।
বিষয়টি উল্লেখ করে বখতিয়ার উদ্দিন লিখেছেন, ‘তাঁর এই বক্তব্যে আমার এত দিনের ভুল ভেঙে যায় এবং বিশ্বাস হয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতাবিরোধী দল। তাই আমি স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে কোনোভাবেই এই দলের সাথে সংযুক্ত থাকতে পারি না।’
এদিকে এ প্রসঙ্গে খানসামা উপজেলার আমির আব্দুল্লাহ আল কাফী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বখতিয়ারের পদত্যাগের বিষয়টি শুনেছি, তবে এখনো পদত্যাগপত্র পাইনি।’