মনিরুলের অভিযোগের বিষয়ে যা বললেন রিটার্নিং কর্মকর্তা
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হারানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক (সাক্কু)। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, প্রিসাইডিং অফিসাররা যে ফলাফল দিয়েছেন, তা সমন্বয় করে এই ফলাফল পেয়েছেন তাঁরা।
শেষ মুহূর্তে যখন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক (রিফাত) ও মনিরুল হকের ভোট প্রায় সমান সমান ছিল, তখন ফল প্রকাশে বিলম্ব হয়। এ বিষয়টি প্রশ্ন তৈরি করে কি না, জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, তিন থেকে চারজন প্রিসাইডিং অফিসার ফলাফল পাঠাতে দেরি করেছেন। সে কারণে ফল প্রকাশে দেরি হয়েছে।
বুধবার রাতে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ভোটের ফল ঘোষণার শেষ পর্যায়ে হট্টগোল হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা ফল ঘোষণায় বিরতির কথা বললে প্রতিবাদ করেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মনিরুল হকের সমর্থকেরা। ফল ঘোষণার দাবিতে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অবস্থান নেন মনিরুল। পরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক (রিফাত) একদল অনুসারীকে নিয়ে সেখানে যান। এ সময় দুই প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে সেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এতে ফল ঘোষণা কিছুক্ষণ বন্ধ রাখার পর আরফানুলকে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী। মনিরুলের চেয়ে ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী দেখানো হয়েছে আরফানুলকে।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফল অনুযায়ী, নৌকা মার্কার প্রার্থী আরফানুল হক পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনিরুল হক (সাক্কু) পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট।
এ ফল ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মনিরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন তার প্রথম পরীক্ষায় বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। ফলাফল ঘোষণা দেরি করে সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে পরিকল্পিতভাবে আমাকে হারানো হয়েছে।’
এ ফলাফলের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বিগত দুই মেয়াদের মেয়র মনিরুল হক।