জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জন্য আরও সুযোগ-সুবিধা চান বি চৌধুরী
বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী দেশের জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের আট লাখ টাকা পর্যন্ত আয়কর মওকুফ এবং বিভাগীয় শহরগুলোয় তাঁদের জন্য হাসপাতাল নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে যুক্তফ্রন্ট ও বিকল্পধারার আয়োজনে ‘বাজেট ২০১৯-২০২০ বাস্তবায়ন ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বি চৌধুরী এসব কথা বলেন।
বি চৌধুরী ভারতীয় বাজেটে সে দেশের জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের আয়করের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের ৬০ বছর পর্যন্ত উৎপাদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য আয়কর ৫ লাখ এবং ৬০ থেকে ৮০ এবং ৮০-এর ঊর্ধ্বে জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়কর মওকুফ করা উচিত।’ মওকুফের কারণ হিসেবে বি চৌধুরী বলেন, বয়োজ্যেষ্ঠরা যে আয় করেন তার ৮০ ভাগ টাকা খরচ হয়ে যায় বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগের চিকিৎসাতেই।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বিভাগীয় শহরে জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জন্য পাঁচ হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের দাবি জানান। ক্যানসারের ওষুধের দাম কমানোর প্রস্তাবের জন্য তিনি সরকারকে সাধুবাদ জানিয়ে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগ, কিডনি ও লিভারের বিভিন্ন রোগে ব্যবহৃত ওষুধের দাম শতকরা ৫০ ভাগ কমানোরও দাবি জানান। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা ও বয়স্ক ভাতা বাড়ানোর জন্যও সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ঢালাওভাবে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া জনগণ পছন্দ করেনি বলে উল্লেখ করেন বি চৌধুরী। তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাত এবং শেয়ারবাজারের জন্য পৃথক কমিশন গঠনের জন্য দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি উপজেলায় ট্যাক্স সেন্টার করার প্রস্তাবের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
বিকল্পধারার সভাপতি অভিযোগ করে বলেন, বাজেটে শিক্ষার উন্নয়নে দৃঢ় পদক্ষেপ নেই। তিনি বলেন, বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বি. চৌধুরী কৃষকের সমস্যা সমাধানে আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কৃষিজাত দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, প্রেসিডিয়াম সদস্য সমশের মবিন চৌধুরী, মাহী বি. চৌধুরী, গোলাম সারোয়ার মিলন, বিএলডিপির চেয়ারম্যান নাজিমউদ্দিন আল আজাদ, জনদলের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরী, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান হামদুল্লা আল মেহেদী প্রমুখ।