২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

জামানত হারাবেন মওদুদসহ বিএনপির ছয় প্রার্থীই

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। ফাইল ছবি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। ফাইল ছবি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালীর ছয়টি আসনেই জামানত হারাচ্ছেন বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীরা। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনই ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থী হিসেবে পরিচিত। গত রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তাঁরা কেউই মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ পাননি। তাই তাঁরা জামানত হারাবেন।

জামানত হারানো বিএনপির নেতারা হলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, দুই ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান ও বরকত উল্যাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। এ ছাড়া দলের অপর প্রার্থী ফজলুল আজিমও জামানত হারাবেন।

নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের ছয় প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন নোয়াখালী-৪ আসনের প্রার্থী মো. শাহজাহান, আর সবচেয়ে কম ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন নোয়াখালী-২ আসনের প্রার্থী জয়নুল আবদিন ফারুক।

শাহজাহানের সঙ্গে বিজয়ী প্রার্থী মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর ভোটের ব্যবধান ৩ লাখ ৭২ হাজার ৭৬৫। অন্যদিকে জয়নুল আবদিন ফারুকের সঙ্গে বিজয়ী প্রার্থী মোরশেদ আলমের ভোটের ব্যবধান ১ লাখ ৫১ হাজার ২২২ ভোট। আবার পরাজিত প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন নোয়াখালী-৩ আসনের প্রার্থী বরকত উল্যাহ বুলু। তিনি পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৭৯০ ভোট।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, নোয়াখালী-১ আসনে প্রদত্ত ভোট ২ লাখ ৬১ হাজার ৩২৩। এখানে আওয়ামী লীগের এইচ এম ইব্রাহিম নৌকা প্রতীক নিয়ে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৭০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এ এম মাহবুব উদ্দিন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৮৬২ ভোট।

নোয়াখালী-২ আসনে প্রদত্ত ভোট ২ লাখ ১৬ হাজার ৮৪৭। এখানে আওয়ামী লীগের মোরশেদ আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৩৯১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জয়নুল আবদিন ফারুক পেয়েছেন ২৬ হাজার ১৬৯ ভোট।

নোয়াখালী-৩ আসনে প্রদত্ত ভোট ২ লাখ ৭৭ হাজার ২৪৮টি। এখানে আওয়ামী লীগের মামুনুর রশিদ কিরণ ২ লাখ ১৭ হাজার ৪২৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বরকত উল্যাহ বুলু পেয়েছেন ৫৩ হাজার ভোট।

নোয়াখালী-৪ আসনে মোট প্রদত্ত ভোট ৪ লাখ ৩২ হাজার ৫২৪। এখানে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী ৩ লাখ ৯৬ হাজার ২২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. শাহজাহান পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৫৭ ভোট।

নোয়াখালী-৫ আসনে মোট প্রদত্ত ভোট ২ লাখ ৭২ হাজার ৬২৩। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওবায়দুল কাদের ২ লাখ ৫২ হাজার ৭৪৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মওদুদ আহমদ পেয়েছেন ১০ হাজার ৯৭০ ভোট।

নোয়াখালী-৬ আসনে মোট প্রদত্ত ভোট ২ লাখ ২০ হাজার ১৮৭। এখানে আওয়ামী লীগের আয়েশা ফেরদাউস ২ লাখ ১০ হাজার ১৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ফজলুল আজিম পেয়েছেন ৪ হাজার ৭১৫ ভোট।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনী আইন অনুযায়ী প্রতিটি আসনে যেসব প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পাবেন তাঁরা জামানত ফেরত পাবেন। যাঁরা তার চেয়ে কম ভোট পাবেন তাঁদের জামানত ফেরত দেওয়া হবে না। তবে তাঁরা এখনো বিষয়টি চূড়ান্ত করেননি, কারা কারা জামানত হারাবেন।