২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

কারাগারে মুশতাককে হত্যা করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
ফাইল ছবি

কারাবন্দী অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদকে কারাগারে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, মুশতাকের মতো একজন অরাজনৈতিক নিজস্ব চিন্তার লেখকের মৃত্যুর সঙ্গে রাষ্ট্রশক্তি জড়িত।

আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কাশিমপুর কারাগারে বন্দী অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার মুশতাক আহমেদ মারা যান।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন অসংগতি নিয়ে স্বাধীনচেতা মানুষের মত প্রকাশের সুযোগ গণতান্ত্রিক বিশ্বে সর্বজনস্বীকৃত। কিন্তু বাংলাদেশে আওয়ামী সরকার কালাকানুনের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখাকে বরদাস্ত করছে না। যাঁরা স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের চেষ্টা করছেন তাঁদের হয় গুমের শিকার হতে হচ্ছে, নতুবা সরকারি হেফাজতে প্রাণ দিতে হচ্ছে। তার সর্বশেষ শিকার হলেন মুশতাক আহমেদ।

কারাগারে মুশতাক আহমেদকে অবর্ণনীয় নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, মুশতাক লুটপাটকারী, কালোবাজারি, সন্ত্রাসী বা ডাকাত ছিলেন না। মুশতাক একজন সৎ ও সাহসী মানুষ ছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মুশতাকের মতো একজন অরাজনৈতিক, নিরীহ এবং নিজস্ব চিন্তায় স্বায়ত্তশাসিত ফেসবুকে ফ্রিল্যান্সার লেখকের মৃত্যু কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়, এর সঙ্গে রাষ্ট্রশক্তি জড়িত। সরকারি হেফাজতে কারাগারে মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ তিনি এ ঘটনার নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান।

দেশে এখন নব্য বাকশালি শাসন জারি রাখা হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষকে নিঃশব্দ করতেই গুম, খুন, ক্রসফায়ার, পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুকে রাষ্ট্রীয় জীবনের অনুষঙ্গ করা হয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে সত্য সমালোচনাতেও তারা আঁতকে ওঠে। রাষ্ট্র ক্রমান্বয়ে মাফিয়ারূপ ধারণ করেছে। সরকার নিজেদের অপকর্ম থেকে মানুষের দৃষ্টি সরাতে বিবেকবান, স্বাধীনচেতা লেখকদের দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

মির্জা ফখরুল আশা প্রকাশ করেন, মুশতাকের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দেশের তরুণ সমাজ জেগে উঠবে এবং দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, নাগরিক স্বাধীনতাসহ সুশাসন ও আইনের শাসন ফিরে আসবে।

পাশাপাশি গত বছরের মে মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মুশতাক আহমেদের সঙ্গে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে কারাবন্দী রাখার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁর মুক্তি দাবি করেন বিএনপির মহাসচিব।