করোনার টিকা নেওয়ার পর বিএনপি নেতাদের টিকা নিতে বললেন তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি নেতাদের লজ্জা ভেঙে করোনার টিকা নিতে বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। আজ বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিকে তিনি করোনার টিকা নেন।
বিএনপির নেতারা করোনা টিকা নেওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান ও ক্লিনিকের সিভিল সার্জন ইলিয়াছ আলী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রথমত, বিএনপির যে নেতারা টিকা নিয়েছেন বা নেওয়ার পক্ষে কথা বলছেন, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই। যে দায়িত্বশীল নেতারা এই টিকা নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছিলেন, তাঁদের জন্য লজ্জা হচ্ছে। কারণ, তাঁদের চালানো অপপ্রচারে এটিই প্রমাণ হয় যে তাঁরা সব সময় দেশের মধ্যে গুজব রটনা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার উদ্দেশ্যেই অপপ্রচার চালান।’
টিকার সফল প্রয়োগ দেখতে পেয়ে বিএনপি নেতাদের এখন খুব লজ্জা হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘টিকা নিতে মানুষের এত ব্যাপক উৎসাহ যে সেটিকে সামাল দিতে সরকারকে আরও ব্যাপক প্রস্তুতি ও নানা ধরনের ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। এতে তাঁদের চেহারা চুপসে গেছে, লজ্জা হচ্ছে। আমি তাঁদের বলব, লজ্জা না পেয়ে আপনারাও টিকা নিন, সরকার সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বদ্ধপরিকর। বিরোধী দলের যাঁরা আমাদের কড়া সমালোচনা প্রতিদিন করেন, করেছেন টিকা নিয়ে, তাঁদেরও আমরা সুরক্ষা দিতে চাই।’
অনেক দেশে টিকার জন্য হাহাকার করছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এত বিপুল জনগোষ্ঠীর মধ্যে টিকা প্রদান কার্যক্রম এবং মানুষের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় এটিই প্রমাণিত হয়, সব অপপ্রচারকে পেছনে ফেলে প্রধানমন্ত্রীর সময়োচিত সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশের মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, সেটি অত্যন্ত সফল।
টিকা গ্রহণের অনুভূতি জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তো ডায়াবেটিক রোগী, প্রতিদিন ইনসুলিন নিতে হয় সকালে। ইনসুলিন নেওয়ার সময় কিছুটা অনুভব হয় যে আমি ইনসুলিন নিচ্ছি। আজকে টিকা নেওয়ার সময় সেটিও অনুভূত হয়নি। এতে মনে হচ্ছে, আমাদের যারা টিকা দিচ্ছে, সেই টিকাদানকারীরা অনেক দক্ষ। আমাকে যে টিকা দিয়ে দিল, আমি বুঝতেই পারি নাই।’
প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা
আল–জাজিরার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের দেওয়া বক্তব্য নিয়ে গতকাল প্রথম আলোতে ‘হারিছ, আনিসের সাজা মওকুফের বিষয়ে ওয়াকিবহাল নন তথ্যমন্ত্রীও’ এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ শিরোনামে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। সেখানে তথ্যমন্ত্রীর উদ্ধৃতি তুলে ধরা হয় হয়। তিনি বলেছেন, ‘এ বিষয়ে আরও একটু খোঁজখবর করে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল হয়ে আপনাদের জানাতে চাই। তবে আমি যত দূর জানি, তাঁরা সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুনির এক আত্মীয় ফ্রিডম পার্টির নেতাকে খুন করার অপরাধে; অর্থাৎ জাতির পিতার হত্যাকারীর সহযোগীকে হত্যা করার অপরাধে। এবং সাজা মাফ করার এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির আছে। বাংলাদেশে বহুজনের সাজা মাফ করা হয়েছে। বিচার–বিশ্লেষণ করে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই নিশ্চয় রাষ্ট্রপতি এটি করেছেন।’