ঈদের পরই কঠিন আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে: গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করতে হবে। এর জন্য দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বের করতে হবে। চুপি চুপি ঘরের পেছনে চার-পাঁচজন দাঁড়িয়ে ছবি তুললেন। তারপর ফেসবুকে আপলোড দিলেন। এই আন্দোলন নেত্রীকে মুক্ত করা সম্ভব নয়। এর জন্য সবাইকে সংগঠিত হতে হবে। আপনারা প্রস্তুতি নিন ঈদের পরই কঠিন আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর এসব কথা বলেন। ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার পুকুরপাড় গ্রামে এ অনুষ্ঠান করা হয়।
গয়েশ্বর বলেন, বিএনপি মানে গণতন্ত্র। বিএনপি যতবার ক্ষমতায় ছিল গণতন্ত্র চর্চার করেছে। বিদেশিদের মনোরঞ্জন করে দেশের গণতন্ত্র বিলিয়ে দেয়নি। তিনি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, এই অবৈধ সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করে জোর করে আবারও নিজেদের বানানো নির্বাচন কমিশন দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছে।
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ান সালাহউদ্দিন বাবুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন গণতন্ত্রের আদর্শ রাজনীতিক। তিনিই বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর মৃত্যু হলেও আদর্শের মৃত্যু হয়নি। জিয়াউর রহমানকে হত্যার মধ্যে দিয়ে এ দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিল।’
ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. সাহাবউদ্দিন, ঢাকা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ, নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবুল কালাম, দোহার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজ প্রমুখ।