কয়েক লাখ টাকা হয়ে গেছে, শিগগিরই নতুন কার্যালয় কিনব: নুরুল হক

প্রিতম-জামান টাওয়ারের সামনের রাস্তায় সংবাদ সম্মেলন করেন নুরুল হক। ঢাকা, ২১ জুলাই
ছবি: প্রথম আলো

কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রাখার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নুরুল হকের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদ। আজ শুক্রবার বিকেলে পুরানা পল্টন এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলের আগে সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পুলিশ প্রত্যাহারের দাবি জানান নুরুল হক।

বিক্ষোভ মিছিলের আগে প্রিতম–জামান টাওয়ারের সামনের রাস্তায় সংবাদ সম্মেলন করেন নুরুল হক। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি, অনতিবিলম্বে এই কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করতে হবে। কার্যালয় খুলে দিতে হবে। চুক্তি অনুযায়ী, আগামী ছয় মাস আমরা কার্যালয়ে থাকতে পারব। ছয় মাস পর আমাদের কার্যালয় ছেড়ে দেব।’

কার্যালয় বুঝিয়ে না দিলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে জানিয়ে নুরুল হক বলেন, ‘আমরা নিজস্ব কার্যালয় কেনার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। ইতিমধ্যে আমাদের কয়েক লাখ টাকা হয়ে গেছে, যা নেতা–কর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষীরা দিয়েছেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে গণ অধিকার পরিষদ নিজস্ব কার্যালয় কিনবে।’

অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন নুরুল হক। তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলার বিষয়ে কালক্ষেপণ করব না। শেখ হাসিনার পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর, এক দফা দাবিতে আন্দোলন চলছে, চলবে।’

গণ অধিকার পরিষদকে নিবন্ধন না দেওয়ার প্রতিবাদে ২৫ জুলাই নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান নুরুল হক। তিনি বলেন, জামান টাওয়ারের সামনে থেকে ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টায় নির্বাচন কমিশন ভবনের দিকে যাত্রা শুরু করা হবে। সারা দেশের নেতা–কর্মীরা ব্যানার নিয়ে ঢাকায় নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করার জন্য হাজির হবেন।

আরও পড়ুন

সংবাদ সম্মেলনের আগে পুরানা পল্টনের প্রিতম-জামান টাওয়ারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন গণ অধিকার পরিষদের নেতা–কর্মীরা। মিছিলটি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি হয়ে সচিবালয়–সংলগ্ন জিরো পয়েন্টে যায়। পরে সেখান থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে কাকরাইল মোড়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়, পল্টন মডেল থানার সামনে থেকে আবার প্রিতম-জামান টাওয়ারের সামনে ফিরে মিছিল শেষ হয়। এখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নুরুল হকের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেয় ভবনের মালিকপক্ষ। বিকেলে তালা ভেঙে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন নুরুল হকসহ নেতা–কর্মীরা। পরে তাঁদের পিটিয়ে বের করে দিয়েছে পুলিশ।