বিজয়ের সুফল ভোগ করতে সবাইকে ধৈর্যধারণ করতে হবে: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন

৯ বছর ধরে ভারতে অবস্থানের পর রোববার দেশে ফেরেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ

৯ বছর ধরে ভারতে অবস্থানের পর আজ রোববার দেশে ফিরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশের জনগণ যাতে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও এই বিজয়ের সুফল ভোগ করতে পারে, সে জন্য সবাইকে ধৈর্যধারণ ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।

আজ ভারত থেকে দেশে ফিরেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের এ কথাগুলো বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি ৯ বছরের বেশি সময় নির্বাসন থেকে আপনাদের মধ্যে আসতে পেরে মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। প্রথমেই এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতাকে অভিনন্দন জানাই, যারা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা এনেছে, প্রকৃত স্বাধীনতা এনেছে এবং নতুন বিজয় দিবস আমাদের উপহার দিয়েছে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যদি আমরা আইনের শাসন কায়েম করতে পারি, আইনের শাসনের রাষ্ট্র বানাতে পারি, সর্বস্তরের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে দিতে পারি, তাহলেই ১৮ কোটি মানুষ সেটার সুফল পাবে।’

ধর্ম-বর্ণ-দলমতনির্বিশেষে সহাবস্থানের আহ্বান জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করব। অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রকারীদের কাছ থেকে এই রাষ্ট্র যাতে হেফাজতে থাকে, সে জন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমরা সব গোষ্ঠীর ধর্ম-বর্ণ-দলমতনির্বিশেষে সবাইকে সমভাবে যেন সমদৃষ্টিতে দেখি এবং এ দেশের সবাইকে আমরা যেন বাংলাদেশি হিসেবে দেখি।’

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের কথা তুলে ধরে সালাহউদ্দিন বলেন, কোনো একক রাজত্বের জন্য, একক শাসনের জন্য, একক কর্তৃত্ববাদের জন্য যারা বাংলাদেশে রাজনীতি করবে, তাদের কোনো জায়গা এ দেশে হবে না। এই দেশ একক কোনো ব্যক্তির নেতৃত্বে স্বাধীন হয়নি। সারা বাংলাদেশের মানুষের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতা কোনো একক দলেরও হতে পারে না, কোনো একক ব্যক্তিরও হতে পারে না।

এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।