প্রতিবেশী দেশেও মুসলমানদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে, প্রতিবাদ করতে চাই: মির্জা আব্বাস

র‍্যালি–পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানী নয়াপল্টনেছবি: বিএনপির সৌজন্যে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘শুধু ইসরায়েলে নয়, আমাদের প্রতিবেশী দেশেও মুসলমানদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। আমরা সেটার প্রতিবাদ করি না। আমার রাষ্ট্র প্রতিবাদ করে না, আমরাও প্রতিবাদ করি না। আমরা এটার প্রতিবাদ করতে চাই।’

মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘সারা বিশ্বের মুসলমানদের ওপর যেখানে অত্যচার হবে, আমরা তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করব। প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করব।’

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন।

ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত নৃশংসতার প্রতিবাদে এবং নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে এক প্রতিবাদ সভা ও সংহতি র‍্যালির আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি। র‍্যালির আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস।

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ফিলিস্তিনে যে অত্যাচার হচ্ছে, নারকীয় ঘটনা ঘটছে, তা দেখে আমরা ভাবতে পারি এটা ফিলিস্তিনের মুসলমানদের প্রতি অত্যাচার করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনকে নিধন করার চক্রান্ত হচ্ছে বা করছে। কিন্তু বিষয়টা তা নয়। ওরা ধীরে ধীরে সারা বিশ্বের মুসলমানদের একসময় নিঃশেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করবে।

ইরাক–ইরান যুদ্ধ বন্ধে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হস্তক্ষেপের বিষয়টি উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে এমন ভূমিকা নিতেন যে ইসরায়েল এমন অপকর্ম করার সাহস পেত না। বাংলাদেশে এখন এমন নেতৃত্ব প্রয়োজন।’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জিয়াউর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরি বলেও মনে করেন মির্জা আব্বাস।

জাতিসংঘকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, জাতিসংঘ কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ইসরায়েলের অত্যাচার চলতেই থাকবে। একে একে তারা মুসলমান রাষ্ট্রগুলো ধ্বংস করে দেবে। মুসলমানদের সারা বিশ্বের কোথাও টিকতে দেবে না।

আরও পড়ুন