জামায়াতের ওপর দায় চাপিয়ে আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল: শফিকুর রহমান

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান আজ শুক্রবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেনছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীর ওপর দায় চাপিয়ে আওয়ামী লীগ ছাত্র–জনতার আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্র করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। আওয়ামী লীগকে ‘ফ্যাসিবাদী’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেছেন, সেই ষড়যন্ত্রে জামায়াত পা দেয়নি।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক সুধী সমাবেশে এসব কথা বলেন শফিকুর রহমান। সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখা এই সমাবেশের আয়োজন করে।

সমাবেশে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা জামায়াতের ওপর দায় চাপিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু আমরা সে পাতানো ফাঁদে পা দিইনি। সকল ষড়যন্ত্রের জাল ভেদ করে মাত্র ২৬ দিনের মাথায় আমরা আমাদের অধিকার ফিরে পেয়েছি।’

আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ত্যাগের কথা স্মরণ করে জামায়াতের আমির বলেন, ‘সাম্প্রতিক সফল আন্দোলনে শত শত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। হাজার হাজার আহত হয়েছেন। অনেকে অন্ধত্ব বরণ করেছেন। এসব বীর সংগ্রামীরা আমাদের আমানত। তাই যেকোনো সমস্যায় আমাদের সম্মিলিতভাবে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের হাত থেকে একটি বিধ্বস্ত দেশ পেয়েছে উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, দেশে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও সংশোধনের জন্য সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে হবে। দেশের মানুষ ন্যায়বিচার চায়। এটি প্রতিষ্ঠা করা না গেলে স্বাধীনতা কখনো অর্থবহ হয়ে উঠবে না বা স্বাধীনতার সুফল ভোগ করা যাবে না।

জামায়াতকে ধ্বংস করার জন্য শত শত নেতাকে হত্যা করা হয়েছে—এমন দাবি তুলে দলটির আমির বলেন, অন্যান্য বিরোধী দলের ওপরও নির্মম দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। কিন্তু ‘জুলমবাজ ও ফ্যাসিবাদীদের’ শেষ রক্ষা হয়নি। ছাত্র-জনতার তোপের মুখে তাদের ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছে।

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ঢাকা মহানগরীর আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে ও পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় সুধী সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। পেশাজীবীদের মধ্যে বক্তব্য দেন অধ্যাপক আবদুল হান্নান, প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান, সাবেক বিচারক তাহা মোল্লাহ, কর্নেল (অব.) জিহাদ খান প্রমুখ।