দুর্নীতিবাজদের বিচার ও দলবাজ কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুতিসহ ১৪ প্রস্তাব গণ অধিকারের

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান–পরবর্তী পরিস্থিতিতে দেশের আইন-শৃঙ্খলায় নিয়ন্ত্রণ আনাসহ জনজীবন স্বাভাবিক করে জাতীয় ঐক্য ও সংহতির মধ্য দিয়ে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ১৪টি প্রস্তাব দিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ। আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।

গণ অধিকারের প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে—ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নিহত ব্যক্তিদের সঠিক তালিকা করে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া; প্রতিটি পরিবার থেকে একজনকে চাকরি দেওয়া; আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা; দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দলবাজ কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা; সৎ, দক্ষ ও পেশাদার ওসি, ইউএনও, এসপি ও ডিসি নিয়োগ দেওয়া; গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সংস্কার করা এবং নতুন সংবিধান রচনা করা।

প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে বিচার বিভাগ, প্রশাসনসহ সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোয় রাজনীতিকরণ ও দুর্বৃত্তায়নে জড়িত ব্যক্তিদের চাকরিচ্যুত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে শাস্তি নিশ্চিত করা; বিগত ১৫ বছরে ভিন্নমত নির্মূলে গুম, খুন, হত্যাসহ সাম্প্রতিক গণ-আন্দোলনের সময় হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার কার্যক্রম শেষ করা এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা।

ব্যাংক-শেয়ারবাজার লুট, অর্থ পাচার ও বাজার সিন্ডিকেটে জড়িত ব্যক্তি এবং চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করারও প্রস্তাব দিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ। প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে⁠বাজার তদারকিতে প্রশাসন ও ছাত্র-নাগরিকদের সমন্বয়ে বিশেষ টাস্কফোর্স করে নজরদারি করতে হবে; গত ১৫ বছরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা সব মামলা প্রত্যাহার করে বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে; আওয়ামী লীগ ও দলটির সব সহযোগীদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে; রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন অনুযায়ী বর্তমানে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের শর্ত যাচাই করতে হবে এবং শর্তপূরণ সাপেক্ষে আবেদনকারী নতুন দলগুলোকে নিবন্ধন দিতে হবে।

গণ অধিকার পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে; অনতিবিলম্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে সুস্থ ধারার ছাত্ররাজনীতির বিকাশে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত ছাত্র সংসদ চালু করতে হবে; বিশেষ ক্ষমতা আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সব নিপীড়নমূলক আইন বিলুপ্ত করতে হবে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কার ও জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দিতে হবে।