গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানকে যুক্ত করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরফাইল ছবি

২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানসহ বিএনপির কয়েকজন নেতাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলকভাবে যুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এটি তারেক রহমানের ভাবমূর্তি নষ্ট করার একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।’

গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী ২১ আগস্টের মামলায় তারেক রহমানসহ ১৫ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামি পলাতক থাকার যে তথ্য তুলে ধরেছেন, তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, মূলত চারদিক থেকে ব্যর্থ আওয়ামী লীগ সরকার অশুভ উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক বিরোধের ছায়া অব্যাহত রাখতে চায়।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা গ্রহণের পর নিজেদের মতাদর্শের তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করে তারেক রহমানের নাম চার্জশিটে যুক্ত করেছে। এর আগে তাদেরই আন্দোলনের ফসল এক-এগারোর সরকারের সময়সহ দুই দফা তদন্ত ও চার্জশিটে তারেক রহমানের নাম ছিল না। এরপরও এই মামলায় তারেক রহমানকে জড়িত করা ‘ডামি আওয়ামী সরকারের’ চরম আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ।

‘তারেক রহমানের নামে অসংখ্য মিথ্যা মামলায় বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে সাজা দেওয়া হয়েছে’ বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, সুশাসন ও ন্যায়বিচার থাকলে লুটেরা, অর্থ পাচারকারী এবং ক্ষমতাসীনদের ঘনিষ্ঠ ঋণখেলাপিদের শাস্তি হতো। অথচ তারাই আজ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, যখন সরকারের ঘনিষ্ঠজনদের কলঙ্কিত দুর্নীতি প্রকাশ পাচ্ছে এবং ক্ষমতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বড় বড় কর্মকর্তার অভিনব দুর্নীতির সংবাদ ভাইরাল হচ্ছে, তখন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারের হুমকি গভীর চক্রান্তের অংশ। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী চক্র দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পিতভাবে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। ঔদ্ধত্য, অসহিষ্ণুতা ও মহাদুর্নীতিকে পর্দার আড়ালে রেখে সরকার এখন তারেক রহমানকে বিষোদ্‌গার করছেন। সে জন্যই চক্রান্তমূলকভাবে ২১ আগস্টের মামলায় তাঁকে জড়িত করা হয়েছে।