নির্বাচনের পরেও বিএনপির দুই দিনের গণসংযোগ কর্মসূচি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরেও দুই দিনের ‘গণসংযোগ’ কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। আজ সোমবার গুলশানে দলটির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান।
মঈন খান বলেন, ‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তী কর্মসূচির সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত আগামীকাল (মঙ্গলবার) ও পরদিন (বুধবার) গণসংযোগ কর্মসূচি অব্যাহত রাখা হবে। এ সময় রাজপথে, হাটে, মাঠে, ঘাটে মানুষের কাছে যাব, কথা বলব, তাদের কাছে প্রচারপত্র বিতরণ করা হবে।’
এর আগে লিখিত বক্তব্যে মঈন খান বলেন, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন করে গণ রায় দিয়েছে, শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিকল্প নেই। সুতরাং অবিলম্বে ৭ জানুয়ারির ‘ডামি নির্বাচন’ বাতিল করতে হবে এবং শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান দাবি করে বলেন, ৭ জানুয়ারির ‘ডামি নির্বাচন’ জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। এ জন্য বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষের ৬৩টি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে দেশের স্বাধীনতাপ্রিয় গণতন্ত্রকামী জনগণকে বীরোচিত অভিনন্দন জানাই। সারা দেশে এমন অসংখ্য কেন্দ্র ছিল, যেসব কেন্দ্রে সারা দিনে একটি ভোটও পড়েনি কিংবা হাতে গোনা কয়েকটি ভোট পড়েছে।
মঈন খানের দাবি, খাগড়াছড়ি পার্বত্য আসনের ১৯৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৯টি কেন্দ্রে একটি ভোট পড়েনি। এটা প্রমাণ করে, ক্ষমতাসীন সরকার ও নির্বাচন কমিশন ভুয়া।
সরকার কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতির হার বাড়াতে অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছিল দাবি করে মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের মধ্যে ‘ডামি প্রার্থী’ দাঁড় করিয়ে কৃত্রিম প্রতিযোগিতা করেও কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারেনি। এমনকি ভাতা কার্ডধারীদের হুমকি, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদেরকে বাধ্যতামূলক ভোট প্রদানের আদেশ জারিসহ নানা পন্থা অবলম্বন করেও ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নেওয়া যায়নি।
মঈন খান বলেন, গণতন্ত্রকামী জনগণ বিশ্বাস করে, নির্বাচনে কোন প্রার্থীকে বিজয়ী কিংবা বিজিত ঘোষণা করা হবে, সবকিছুই থাকে পূর্বনির্ধারিত। এই সরকার আর এই নির্বাচন কমিশনকে বিশ্বাস করলে জনগণের ভোটকেন্দ্রে আসার কথা ছিল। কিন্তু জনগণ ভোট বর্জন করে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে দিয়েছে, এই সরকার আর এই নির্বাচন কমিশন সবই ভুয়া। তিনি আরও বলেন, এই ‘ডামি নির্বাচনের’ মাধ্যমে শেখ হাসিনা কোনো সরকার গঠনের চেষ্টা করলে সেটি হবে ‘গভর্নমেন্ট অব দ্য ডামি, বাই দ্য ডামি, ফর দ্য ডামি’। কিন্তু দেশের মানুষ পরনির্ভরশীল ‘ডামি সরকার’ নয়, জনগণ চায় তাদের ভোটে নির্বাচিত জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী জবাবদিহিমূলক সরকার।