শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও ‘রাজাকার’ স্লোগানের নিন্দা ওয়ার্কার্স পার্টির

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও শিক্ষার্থীদের দেওয়া ‘রাজাকার’ স্লোগানের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে কোটার বিষয়ে সমাধানে পৌঁছাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। একই বিষয়ে পৃথক বিবৃতি দিয়েছে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও সহিংস ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। একই সঙ্গে দলটি আন্দোলনকারীদের দেওয়া ‘রাজাকার’ স্লোগানের নিন্দা জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাধীন বাংলাদেশে এই স্লোগান দুঃখজনকই নয়, দুর্ভাগ্যজনক বটে। এ স্লোগানই প্রমাণ করেছে, কোটা সংস্কারের যৌক্তিক আন্দোলনকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতায় দাঁড় করিয়ে দেওয়ার জন্য একটি মহল তৎপর। তারা ইতিমধ্যে আন্দোলনের নেতৃত্ব নিজেদের কবজায় নিতে এসব হঠকারী স্লোগান তুলছে। এটা কোটা সংস্কার আন্দোলনের জন্য বিপজ্জনকই নয়, দেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ঐতিহ্যের জন্য বিপজ্জনকও। আন্দোলনকারীদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এর আগে কোটা সংস্কারের যৌক্তিকতা স্বীকার করে নিয়ে বলেছে, এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধানের নির্দেশনার আলোকেই একটি সমাধানে পৌঁছানোই হবে যুক্তিযুক্ত পথ। আদালতের ওপর দায় না রেখে সরকারকেই এখনই এ ব্যাপারে একটি সমাধানে পৌঁছাতে হবে।

এদিকে পৃথক বিবৃতিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন। সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস ও সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদের নাম উল্লেখ করে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সমস্যার দ্রুত সমাধানের দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা সভা-সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহনীয় অবস্থান নিয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে এই সংগঠনও আশাবাদী যে বিষয়টি একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে এগোচ্ছে। আদালতের এখতিয়ারের ফলে একটি যৌক্তিক সমাধানের পথ প্রশস্ত হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের কথাকে পুঁজি করে কতিপয় তরুণ-তরুণীর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ঘৃণিত ‘রাজাকার’ শব্দের ব্যবহার খুবই ন্যক্কারজনক ও নিন্দনীয়। এর পেছনে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী অপশক্তির সংশ্লিষ্টতা সামনে আসতে শুরু করেছে।

বিবৃতিতে দ্রুত সময়ে বিদ্যমান কোটার সময়োপযোগী সংস্কার এবং সব মহলের সংঘাত-সহিংসতার পথ পরিহার করার আহ্বান জানানো হয়।