জানমাল রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান গণসংহতি আন্দোলনের
দেশের জনগণের জানমাল রক্ষায় সবাইকে সামাজিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অর্জনকে কেউ যাতে কলুষিত করতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান দানিয়েছে দলটি।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীতে গণসংহতি আন্দোলনের শান্তি–সম্প্রীতি মিছিলের পর এক সমাবেশ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। বেলা তিনটায় হাতিরপুলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শান্তি–সম্প্রীতির মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি শাহবাগ হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে সমাবেশ করে দলটি। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল। সমাবেশ পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দীপক রায়।
আবুল হাসান রুবেল বলেন, ছাত্র–জনতার গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে কর্তৃত্ববাদী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের বিদায় হয়েছে। জাতি স্বৈরাচারী শাসকের হাত থেকে মুক্ত হলেও স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা এখনো বিদ্যমান। এই স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বিদায় করে এক নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মাধ্যমে দেশে পরিপূর্ণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার নতুন এক সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। গণতন্ত্রের পথে পূর্ণ বিজয় অর্জিত হওয়া পর্যন্ত লড়াই জারি রাখতে হবে।
সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, কোনো প্রতিহিংসা ও জনগণের সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি নয়। ধর্ম পরিচয়ের কারণে কেউ যাতে সহিংসতার শিকার না হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। সারা দেশে পাড়া–মহল্লায় ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাস-সহিংসতা প্রতিহত করতে হবে ও জানমাল রক্ষা করতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা আরও বলেন, ১৫ বছর ধরে দেশের মানুষ কথা বলতে পারেনি। গুম–খুন–অপহরণ ও নির্যাতন করতে আয়নাঘর বানিয়েছে। আয়নাঘরে (গোপন বন্দিশালা) আটক রেখে হাজার হাজার মানুষকে আইনবহির্ভূতভাবে বর্বর নির্যাতন করা হয়েছে। অগণিত মানুষকে মেরে ফেলা হয়েছে। এই জুলুমের শাসন যেন আর ফিরে না আসতে পারে, তার জন্য নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রয়োজন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার ও মনির উদ্দীন, কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, ঢাকা জেলা কমিটির সদস্যসচিব মনিরুল হুদা, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব সেলিমুজ্জামান, ঢাকা দক্ষিণের সদস্যসচিব মাহবুব রতন, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য আলিফ দেওয়ান প্রমুখ।