ঢাকার দুই প্রবেশমুখে বিএনপির সমাবেশ আজ

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানী ঢাকার দুই প্রবেশমুখে সমাবেশ করবে বিএনপি। একটি হবে উত্তরার আবদুল্লাহপুর পলওয়ে মার্কেট–সংলগ্ন মাঠে, অন্যটি হবে যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়কে।
উত্তরার সমাবেশের আয়োজন করবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। আর যাত্রাবাড়ীর সমাবেশ হবে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে। বেলা তিনটায় সমাবেশ দুটি শুরু হওয়ার কথা।

উত্তরার সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি থাকবেন। যাত্রাবাড়ীর সমাবেশে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস প্রধান অতিথি ও আবদুল মঈন খান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

এ দিকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বাদ জুমা সারা দেশে জেলা, মহানগর, থানা-উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের কর্মসূচি পালন করবে দলটি।

সমমনা দল ও জোটের সমাবেশ

বিএনপির পাশাপাশি যুগপৎ আন্দোলনে শরিক সমমনা বিভিন্ন দল ও জোট পৃথক পৃথক সমাবেশ করবে। এর মধ্যে ১২ দলীয় জোট বিকেল চারটায় রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংক–সংলগ্ন এলাকায়, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট বেলা তিনটায় পুরানা পল্টনের আলরাজী কমপ্লেক্সের সামনে, একই সময় এলডিপি কারওয়ান বাজার এফডিসিসংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ের সামনে, গণ অধিকার পরিষদ (নুরুল হক) উত্তর বাড্ডা ওভার ব্রিজ–সংলগ্ন এলাকায় সমাবেশ শেষে রামপুরা অভিমুখে পদযাত্রা করবে এবং গণ অধিকার পরিষদ (রেজা কিবরিয়া) বিকেল চারটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করবে।

কর্মসূচিতে পরিবর্তন

১৯ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ঘোষিত কর্মসূচিতে পরিবর্তন এনেছে বিএনপি। এর মধ্যে ৩ অক্টোবরের কুমিল্লা-চট্টগ্রাম বিভাগের রোডমার্চের তারিখ পরিবর্তন করে ৫ অক্টোবর করা হয়েছে। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকাসহ সব মহানগর ও জেলায় সমাবেশের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ পরিবর্তনের কথা জানান।

পরিবর্তিত কর্মসূচি অনুযায়ী ৩ অক্টোবর ফরিদপুরে রোডমার্চ অথবা সমাবেশের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে পূর্বঘোষিত ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় পেশাজীবী সমাবেশের তারিখ পরিবর্তন করে ৪ অক্টোবর করা হয়েছে।

১৮ সেপ্টেম্বর বিএনপির মহাসচিব এক দফা আন্দোলনের টানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিভাগ পর্যায়ে রোডমার্চ, ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ, পেশাজীবী কনভেনশন প্রভৃতি।