কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ, শেষ সময়ে দ্বন্দ্বে দুই পক্ষ

আল নাহিয়ান খান ও লেখক ভট্টাচার্য নেতৃত্বাধীন ছাত্রলীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে প্রায় দুই বছর আগে। মাস দুয়েকের মধ্যেই সম্মেলনের মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী এই ছাত্রসংগঠনটির নতুন নেতৃত্ব আসতে পারে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে ‘শেষ সময়ে’ এসে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সংগঠনের সম্মেলনপ্রত্যাশী একটি অংশের দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। দুই পক্ষের মধ্যে চলছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ।

ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান ও সাধারণ সম্পাদক লেখকের সঙ্গে সম্মেলনপ্রত্যাশী পক্ষের নেতাদের এই দ্বন্দ্ব সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রে আসে এক অভিযোগপত্রের মাধ্যমে। আল নাহিয়ান ও লেখকের ‘অনিয়মের’ তালিকা তৈরি করে তা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছিলেন সম্মেলনপ্রত্যাশীরা। তবে শেষপর্যন্ত তাঁরা অভিযোগপত্রটি জমা দিতে পারেননি। ওই অভিযোগপত্রের সূত্র ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর জন্য আল নাহিয়ান ও লেখক সম্মেলনপ্রত্যাশীদের কড়া সমালোচনা করেছেন।

ছাত্রলীগের সম্মেলনপ্রত্যাশী অংশটির নেতৃত্বে আছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি কামাল খান, সোহান খান, ইয়াজ আল রিয়াদ, সৈয়দ মো. আরিফ হোসেন ও মাজহার শামীম। ১০ সেপ্টেম্বর দুপুরে সম্মেলনপ্রত্যাশীরা অভিযোগপত্রটি নিয়ে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার কাছে যান। তবে সেদিন তাঁরা অভিযোগপত্রটি জমা দিতে পারেননি। পরে ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের কাছ যান তাঁরা। সেখানেও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। এরপর তাঁদের অভিযোগপত্রটি আর জমা দেওয়া হয়নি।

সম্মেলনপ্রত্যাশীদের পক্ষ থেকে এই অভিযোগপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়াটি সমন্বয় করেছিলেন ছাত্রলীগের সহসভাপতি কামাল খান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন সহসভাপতিসহ শতাধিক নেতা অভিযোগ জানানোর পক্ষে সম্মতি দিয়েছেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনিয়মের কোনো সীমা নেই। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই মাস পরপর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাধারণ সভা হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমান কমিটির পুরো তিন বছর মেয়াদে মাত্র একটি সভা হয়েছে। সাধারণ সভা না হওয়ায় কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ মূলত অকার্যকর। সাধারণ সভা হলে সাংগঠনিক ফোরামেই অভিযোগগুলো উপস্থাপন করা যেত। যেহেতু সাধারণ সভা হচ্ছে না, তাই আমরা আমাদের অভিভাবক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কেন্দ্রীয় কমিটির এক–তৃতীয়াংশের স্বাক্ষর নিয়ে অভিযোগপত্র দিতে গিয়েছিলাম।’

আরও পড়ুন

সম্মেলনপ্রত্যাশী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সোহান খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্রলীগকে সুন্দর করার জন্য কিছু দাবি-দাওয়া ও আর্জি নিয়ে মাননীয় নেত্রী বরাবর আমরা একটি চিঠি নিয়ে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমাদের সাক্ষাৎ না দিয়েই চলে যান। পরে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের কাছে আমি যাইনি। আমাদের কেউ গিয়ে থাকলে তার দায় সবার নয়। ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যতম নেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে নেত্রী আমাদের ব্যাপারে সবকিছুই জানেন। তাই আপাতত এ বিষয়ে আমাদের আর কিছু বলার নেই।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘ছাত্রলীগের সাংগঠনিক অভিভাবক আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন যে কবে ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।’

অভিযোগপত্র জমা দিতে না পারলেও আল নাহিয়ান ও লেখকের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিয়মিতই সমালোচনায় মুখর ছাত্রলীগের সম্মেলনপ্রত্যাশীরা।

এ দিকে বসে নেই আল নাহিয়ান-লেখকের অনুসারীরাও। তাঁরাও সম্মেলনপ্রত্যাশীদের সমালোচনা করে পাল্টা পোস্ট করছেন। অভিযোগপত্রের বিষয়টি সামনে আসার পর কয়েকটি নিউজ পোর্টালে সম্মেলনপ্রত্যাশী নেতা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, মাদকের ব্যবসা, স্বাধীনতাবিরোধী ও আওয়ামী লীগের আদর্শবিরোধী রাজনীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সম্মেলনপ্রত্যাশী এক নেতার ফোনালাপের রেকর্ডও ফাঁস হয়েছে। এ বিষয়ে সম্মেলনপ্রত্যাশীর দাবি, এসব সংবাদের পেছনে আল নাহিয়ান ও লেখক ‘কলকাঠি’ নাড়ছেন। সম্মেলনপ্রত্যাশীরাও গণমাধ্যমে আল নাহিয়ান ও লেখকের ‘অপকর্মে’র বিরুদ্ধে নিয়মিত বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছেন।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি সৈয়দ আরিফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আল নাহিয়ান খান ও লেখক ভট্টাচার্য ছাত্রলীগের যেসব ইউনিট কমিটি গঠন করেছেন, সেখানে অছাত্র, বিবাহিত, বিএনপি-জামায়াত পরিবারের সদস্য, মাদকের ব্যবসায়ী ও চিহ্নিত অপরাধীরা স্থান পেয়েছেন। বেশির ভাগ ইউনিটে সম্মেলন ছাড়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটি করা হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে নেতা বানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সঙ্গে সমন্বয়হীনতা ও একক সিদ্ধান্তে সংগঠন পরিচালনা করতে গিয়ে ছাত্রলীগকে পরিকল্পিতভাবে দুর্বল করা হচ্ছে। তাঁরা সংগঠনের গঠনতন্ত্র ও নীতি-আদর্শের কোনো তোয়াক্কা করছেন না। সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত ছাড়াই আগস্টের শুরুতে এক দিনে জেলা-উপজেলা মিলে ১১টি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। একই সময়ে ৩০টির মতো শূন্য পদে অগঠনতান্ত্রিক চিঠির মাধ্যমে কয়েক শ ব্যক্তিকে তাঁরা কেন্দ্রীয় নেতা বানিয়েছেন।

সম্মেলনপ্রত্যাশীদের অভিযোগ, নেতৃত্বে আসার পর থেকেই আল নাহিয়ান ও লেখক বিলাসী জীবন যাপন শুরু করেন। আল নাহিয়ান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল আর লেখক জগন্নাথ হলের কক্ষ ছেড়ে যথাক্রমে নিউমার্কেট ও ইস্কাটন গার্ডেনের দুটি অভিজাত ও ব্যয়বহুল ফ্ল্যাটে পরিবারসহ ওঠেন। এ ছাড়া একাধিক দামি গাড়ি ব্যবহার করেন তাঁরা।

ছাত্রলীগের সাধারণ নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, আল নাহিয়ান ও লেখকের সঙ্গে যোগাযোগ করা খুব কঠিন। এমনকি ফোনেও তাঁদের পাওয়া যায় না। গত জুনে ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান এক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে প্রকাশ্যে এমন অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ফোনে পাই, কিন্তু ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে পাই না। তাঁরা এত ব্যস্ত থাকেন!’

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য আজ শুক্রবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সম্মেলনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের নির্দেশনার বিষয়ে আমরা সবাই অবগত। সম্মেলনের প্রধান অতিথি হিসেবে আমাদের মাননীয় নেত্রী উপস্থিত থাকবেন। সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়, সেটি নির্ধারণ করবেন নেত্রী। এটা আমরা যেমন জানি, অন্য নেতা-কর্মীরাও জানেন। জেনে-শুনে যদি কেউ একই কথা বারবার বলতে থাকেন, তাতে আসলে পরিস্থিতির কোনো ধরনের পরিবর্তন হবে না।’

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোর বিষয়ে লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণের জন্য যে অভিযোগগুলোর কথা বলা হচ্ছে, সেগুলোর আসলে কোনো ভিত্তি নেই। এর কোনোকিছুই কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। কারণ, অভিযোগগুলোর সবই বানানো। সংগঠনকে বিতর্কিত করতে যাঁরা প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে কিছু অভিযোগ এসেছে। সেগুলো আমরা মূল্যায়ন করছি। সেগুলো যদি সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার মতো হয়, তাহলে সেটি করা হবে।’

আল নাহিয়ান খান ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে চলমান নানা বিতর্ক নিয়ে সম্মেলনপ্রত্যাশীদের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘সম্মেলনের নাম করে যাঁরা ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করতে চান, তাঁদের উদ্দেশে বলতে চাই, সম্মেলন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। সম্মেলন আটকে রাখার মতো ক্ষমতা আমার নেই।

ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তাঁর প্রত্যক্ষ নির্দেশে ছাত্রলীগ পরিচালিত হয়। তা জানার পরও আপনারা বলছেন, ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কেন সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করছেন না। তাঁদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা কি ছাত্রলীগে নতুন এসেছেন? ছাত্রলীগকে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করানোর জন্য আপনারা উঠেপড়ে লেগেছেন। এত টাকার উৎস কোথায়, জানি না। গঠনতন্ত্র মেনেই ছাত্রলীগ এগিয়ে যাচ্ছে।’

আরও পড়ুন

সম্মেলন কবে?

২০১৮ সালের মে মাসে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন হয়। একই বছরের ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরীকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে ঘোষণা করা হয় কেন্দ্রীয় কমিটি। উন্নয়নপ্রকল্প থেকে চাঁদা দাবিসহ নানা অভিযোগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে রেজওয়ানুল ও রাব্বানী ছাত্রলীগের পদ হারান।

তখন আল নাহিয়ানকে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তাঁদের ‘ভারমুক্ত’ করে দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

আল নাহিয়ান ও লেখক দায়িত্ব পাওয়ার পর ছাত্রলীগের দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা আবদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেছিলেন, রেজওয়ানুল-রাব্বানীর অবশিষ্ট মেয়াদে (১০ মাস) ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করবেন নতুন দুই নেতা। সেই সময়সীমা অনেক আগেই শেষ হয়েছে। ‘ভারমুক্ত’ হওয়ার সময় থেকে ধরলেও ইতিমধ্যেই একটি পূর্ণাঙ্গ মেয়াদ (দুই বছর) পার করে ফেলেছেন আল নাহিয়ান ও লেখক।

এমন পরিস্থিতিতে গত ১০ মে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে সহযোগী সংগঠনগুলোর এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ছাত্রলীগসহ তিন সংগঠনকে সম্মেলন আয়োজনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই সভা শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ছাত্রলীগ, যুব মহিলা লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগকে সম্মেলন আয়োজন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে শেখ হাসিনার শিডিউল নেবেন। তাঁর সম্মতি অনুযায়ী সম্মেলনের তারিখ নির্ধারিত হবে। অবশ্য ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়ে এখনো সুস্পষ্ট কিছু জানাননি।

সার্বিক বিষয়ে ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যতম নেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক গত রোববার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে কাদা ছোড়াছুড়ি প্রত্যাশিত নয়। ছাত্রলীগের সম্মেলন যথাযথ সময়ে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এবং হবে। ছাত্রলীগের সাংগঠনিক অভিভাবক আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন যে কবে ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।’

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে যাঁরা কাদা ছোড়াছুড়ি করছেন, তাঁদের সবাইকে এ কাজ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান জাহাঙ্গীর কবির নানক। সম্মেলন কবে হবে—এমন প্রশ্নে তাঁর জবাব ছিল, আগামী ডিসেম্বরে যেহেতু আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, সেই কারণে ডিসেম্বরের আগে মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলন হওয়াটাই স্বাভাবিক।