মানুষের দাবিদাওয়া সহনশীলতার সঙ্গে বিবেচনার আহ্বান সিপিবির
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠিত সভা-সমাবেশে উঠে আসা নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের দাবিদাওয়া সরকারকে সহনশীলতার সঙ্গে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। এসব দাবিদাওয়া পূরণে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে পথ খুঁজে বের করার আহ্বানও জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানান সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স)। বিবৃতিতে নেতারা বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন অগণতান্ত্রিক শাসনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাঁদের নিজস্ব দাবিদাওয়া যথাযথভাবে তুলে ধরতে পারেননি। দেশের বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের মধ্যে বৈষম্য পাহাড়সমান। গত বছরের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম আকাঙ্ক্ষা ছিল বৈষম্য মুক্তির। তাই গণ-অভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার বঞ্চিত মানুষ তাঁদের দাবিদাওয়া তুলে ধরবেন, এটাই স্বাভাবিক। যা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আমরা দেখতে পাচ্ছি। বিশেষ করে ঢাকার প্রেসক্লাব ও শাহবাগ এলাকায় প্রতিদিনই অসংখ্য সংগঠন তাদের দাবি নিয়ে হাজির হচ্ছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার অনেক বিষয়ে সংস্কার নিয়ে আলোচনা করলেও বৈষম্য মুক্তির জন্য সুনির্দিষ্ট করণীয় নিয়ে আলোচনা করছে না। নানা বিষয়ে আলোচনা হলেও এ বিষয়ে আলোচনাও শোনা যাচ্ছে না।
বিবৃতিতে সিপিবি নেতারা বলেন, ‘আমরা ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ করছি, অনেক সময় বল প্রয়োগ করে অনেক ক্ষেত্রে আন্দোলনকারীদের আহত করা হচ্ছে। এই অবস্থা মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয়।’
সহনশীলতার সঙ্গে এ আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো বিবেচনা করা ও ন্যায্যতা নিরূপণ এবং পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সেগুলো পূরণের পথে অগ্রসর হতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সিপিবি নেতারা।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলো, আউটসোর্সিংসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং ন্যায্য দাবির প্রতি সংহতি জানান বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।