সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলার বার্ষিকী সোমবার, নেপথ্যের হোতাদের বিচার দাবি
রাজধানীর পল্টন ময়দানে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সমাবেশে বোমা হামলার ২৪তম বার্ষিকী আগামীকাল সোমবার। ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলায় পাঁচজন নিহত হন। দিনটি সামনে রেখে সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স) আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নিহত ব্যক্তিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। একই সঙ্গে তাঁরা ওই হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের পাশাপাশি এর নেপথ্যের হোতাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
২০০১ সালের ওই বোমা হামলায় খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার সিপিবি নেতা হিমাংশু মণ্ডল, সিপিবির খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার নেতা ও দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরির শ্রমিকনেতা আবদুল মজিদ, ঢাকার ডেমরা থানার লতিফ বাওয়ানি জুট মিলের শ্রমিকনেতা আবুল হাসেম এবং মাদারীপুরের মোক্তার হোসেন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। খুলনা বিএল কলেজের ছাত্র ইউনিয়ন নেতা বিপ্রদাস রায় আহত হয়ে ঢাকা বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ওই বছররে ২ ফেব্রুয়ারি মারা যান। বোমা হামলায় শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
বিবৃতিতে সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ২০০১ সালের বোমা হামলায় হত্যাকাণ্ডের যথাযথ বিচার, নেপথ্যের হোতাদের চিহ্নিত করা হয়নি। ওই হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের পাশাপাশি এর নেপথ্যের হোতাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
বিবৃতিতে সিপিবির দুই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, ‘হত্যা-হামলা-মামলা নির্যাতন করে কমিউনিস্টদের আন্দোলন দমানো যায়নি এবং ভবিষ্যতেও যাবে না। শহীদদের স্বপ্নের শোষণমুক্ত সমাজÑসমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেই তাঁদের প্রতি যথাযথ সম্মান জানানো হবে। শহীদদের রক্তপতাকা নিয়েই কমিউনিস্ট পার্টি এগিয়ে যাবে।’
বোমা হামলার বার্ষিকীতে কর্মসূচি
পল্টনের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে আগামীকাল সোমবার সারা দেশে সিপিবির পক্ষ থেকে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কাল সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তি ভবনের সামনে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হবে। সিপিবিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র, যুব এবং বিভিন্ন সামাজিক–সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।