বিএনপি বিদেশিদের হাতে–পায়ে ধরছে, ভিক্ষা চাচ্ছে ক্ষমতায় বসানোর জন্য: আব্দুর রাজ্জাক
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপি বিদেশিদের হাতে-পায়ে ধরছে, ভিক্ষা চাচ্ছে ক্ষমতায় বসানোর জন্য।
বিএনপির সমাবেশের পাল্টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ পাশের সড়কে আজ বুধবার দুপুরে আয়োজিত আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন আব্দুর রাজ্জাক।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপি যতবার ক্ষমতায় এসেছে, সারের সংকট হয়েছে। খাদ্যের সংকট হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে কেউ না খেয়ে মারা যাবে না। ঘরে ঘরে চাকরি হবে। প্রধানমন্ত্রী সব প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আবার ষড়যন্ত্র করছেন, ‘পাকিস্তান বানাবেন। আপনাদের পাকিস্তান বলছেন, রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান টিকে থাকবে না। বিদেশিদের হাতে–পায়ে ধরছেন। ভিক্ষা চাচ্ছেন ক্ষমতায় বসানোর জন্য।’
বিদেশিদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আপনারা আমাদের বন্ধু উন্নয়ন সহযোগী, আপনাদের সম্মান করি। আবারও বলছি, আমরা আপনাদের সম্মান করি। অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করলে জনগণ মেনে নেবে না।’
সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, জিয়াউর রহমান যেদিন মারা গিয়েছিলেন, ওই দিন দেশে কারফিউ ছিল। কারফিউর গণতন্ত্র আপনারা চালু করেছিলেন। বিএনপির মুখে আর যা–ই হোক গণতন্ত্রের কথা মানায় না। যতই সুবিধা দেওয়া হোক, সন্ত্রাস করার মানসিকতা বদলাতে পারেন না।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, অনেক চেষ্টা করেছেন, পারেননি, পারবেনও না। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কোনো ঝামেলা হয়নি। বিএনপির লোকজন দাঁড়িয়েছে। দু–একজন পাসও করেছেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসী দল। আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো তাদের কাজ। এই দল বাংলাদেশকে মানে না। তারা বলে পাকিস্তান আমলে আরও ভালো ছিল।
বিএনপির নেতা–কর্মীরা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করতে দলের নেতা–কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
বিএনপি ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহতের চেষ্টা করেছে উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ঘাতকেরা আবার নেমেছে নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য। যে হাতে আগুন নেওয়া হবে, সে হাত ভেঙে দেওয়া হবে। সে হাতে বোমা নেওয়া হবে, সে হাত পুড়িয়ে দেওয়া হবে।
প্রেসিডিয়ামের আরেক সদস্য আবদুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনা বাঘের মতো আন্তর্জাতিক মোড়লদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন। এই লড়াইয়ে শেখ হাসিনা জিতবেন।
আবদুর রহমান বলেন, ১৯৭১ সালে বহু মোড়লদের মোকাবিলা করেছিলাম। ৭১–এ আমাদের বন্ধু ছিল। সেই বন্ধুরা এখনো আছে।
সমাবেশে প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, বিদেশি শক্তি নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে বিএনপি বিদেশিদের প্রভাবিত করছে। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। দেশ থেকে স্বাধীনতাবিরোধীদের বিতাড়িত করার আগে শান্তি ফিরবে না। তাদের রাজনৈতিকভাবে বিতাড়িত করতে হবে।’
কামরুল ইসলাম বলেন, সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে জাতীয় নির্বাচন করবেন। নির্দলীয় সরকার আর আসার সুযোগ নেই।