আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে। ২২ মার্চ ২০২৫ছবি: প্রথম আলো

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শনিবার বিভিন্ন সংগঠন পৃথকভাবে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। একই সঙ্গে তারা শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের দাবি জানিয়েছে। একই দাবিতে বিকেলে থেকে অবস্থান কর্মসূচি ও গণ-ইফতারের আয়োজন করেছে ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ আন্দোলন’ নামের শিক্ষার্থীদের নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম।

আজ দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সংগঠন ‘ওয়ারিয়র্স অব জুলাই’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। তারা আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন। তাদের দাবি, আওয়ামী লীগকে কোনোভাবে পুনর্বাসন করা যাবে না। শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হাত হারানো আতিকুল গাজী বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে কোনোভাবে পুনর্বাসন করা যাবে না। যদি করা হয়, তাহলে আমার হারানো হাত ফিরিয়ে দিতে হবে।’

আহত হাসানুর রহমান বলেন, ‘এই বাংলার মাটিতে যত দিন পর্যন্ত বেঁচে আছি, তত দিন আওয়ামী লীগ ও খুনি হাসিনার বাংলার মাটিতে জায়গা হবে না।’

বেলা তিনটার দিকে একই দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য দুই হাজারের বেশি মানুষকে খুন করতে পারে, সেই আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসার জন্য দুই লাখের অধিক বিপ্লবী ভাইবোনদের খুন করতে ন্যূনতম কুণ্ঠা বোধ করবে না।’

আরও পড়ুন
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে ‘ওয়ারিয়র্স অব জুলাই’
ছবি: প্রথম আলো

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা সরকারের নেই—প্রধান উপদেষ্টার এ মন্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘আমরা এ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছি এবং এর নিন্দা জানাচ্ছি। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই আপনার। তাহলে কিসের পরিকল্পনা আছে আপনার?’

সেনাবাহিনীকে জনগণের পক্ষে থাকার আহ্বান জানিয়ে এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘গণহত্যাকারীদের পক্ষ আপনারা নেবেন না। রাজনীতি কারা করবে, নির্বাচন কারা করবে, নির্বাচন কবে হবে—এগুলো ঠিক করার দায়িত্ব ক্যান্টনমেন্টের নয়।’

এদিকে বিকেল পাঁচটা থেকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নেয় গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ আন্দোলন। এখানে তাঁরা শনিবার গণ-ইফতারও সম্পন্ন করেছে। রাতে নিজেদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন এই প্ল্যাটফর্মের একজন মুসাদ্দেক আলী ইবনে মুহাম্মদ।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা ‘আমার সোনার বাংলায় আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই, অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘২৪-এর বাংলায় খুনি লীগের ঠাঁই নাই’ এমন বিভিন্ন স্লোগান দেন।

আরও পড়ুন