গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ জামায়াতের
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলা ও নির্মম গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী। আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটায় উত্তর বাড্ডা কামিল মাদ্রাসার সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে রামপুরা ব্রিজে এসে পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি মুহাম্মদ রেজাউল করিম এই বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন। মিছিল শেষে রামপুরা ব্রিজের পাশে পথসভায় সভাপতির বক্তব্য দেন রেজাউল করিম। ইসরায়েলকে সন্ত্রাসী ও দখলদার উল্লেখ করে গাজায় গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘ, আরব লিগ, ওআইসি, কমনওয়েলথসহ আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
রেজাউল করিম বলেন, পবিত্র রমজানে সন্ত্রাসী, অবৈধ রাষ্ট্র শান্তিচুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় হামলা ও নির্মম গণহত্যা চালিয়ে বিশ্বের সাড়ে সাত শ কোটি মানুষের অন্তরে আঘাত করেছে। এ হামলার মাধ্যমে তারা শুধু শান্তিচুক্তি ভঙ্গই করেনি, বরং যুদ্ধাপরাধ করেছে। তিনি বলেন, এসব করে দখলদার আগ্রাসী বাহিনীর শেষ রক্ষা হবে না। বরং ইসলাম ও মুসলমানদের চূড়ান্ত বিজয় নিশ্চিত হবে। গাজা ও ফিলিস্তিনবাসীর জন্য চূড়ান্ত বিজয় অপেক্ষা করছে।
জামায়াত নেতা রেজাউল করিম বলেন, প্রায় ১৬ বছর পতিত আওয়ামী বাকশালি ও ফ্যাসিবাদী শক্তি দেশে অপশাসন, দুঃশাসন ও নির্মম গণহত্যা চালিয়েছে। তারা ইসরায়েল থেকে অস্ত্র আমদানি করে জামায়াত-শিবিরসহ বিরোধী দলের ওপর ব্যাপক গণহত্যা চালিয়েছে। কথিত বিচারের নামে জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের শুধু হত্যা করা হয়নি, অন্য শীর্ষ নেতাদেরও তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ও বিচারকেরা পালিয়ে গেলেও এ টি এম আজহারুল ইসলাম এখনো কারাগারে অবরুদ্ধ রয়েছেন।
রেজাউল করিম বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হয়নি। রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টরে এখনো পতিত স্বৈরাচারের প্রতিভূরা সক্রিয় রয়েছে। তাই দেশকে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের প্রভাবমুক্ত করতে সবার আগে ফ্যাসিবাদী ও তাদের দোসরদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরই নির্বাচন হতে হবে। তিনি বলেন, যাঁরা সংস্কার ছাড়াই নির্বাচন চাচ্ছেন, তাঁরা জাতীয় স্বার্থের বিপরীতে নিজেদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। সংস্কার, বিচার ও আগে স্থানীয় নির্বাচন ছাড়া জনগণ কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না।
বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য নাজিমুদ্দিন মোল্লা, ফখরুদ্দিন মানিক, ইয়াসিন আরাফাত, মুহিব্বুল্লাহ ও জামাল উদ্দিন, প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি আতাউর রহমান সরকার প্রমুখ।