বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকে উৎসাহিত করে যুক্তরাজ্য

ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক আজ রোববার আগারগাঁওয়ে  নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে দেখা করেন
ছবি : তানভীর আহাম্মেদ

ঢাকায়  নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেছেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে উৎসাহিত করে। যাতে বাংলাদেশের জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা করতে পারে।

আজ রোববার নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক শেষে সারাহ কুক এসব কথা বলেন।

হাইকমিশনার বলেন, এটি ছিল সিইসির সঙ্গে তাঁর প্রথম সৌজন্য সাক্ষাৎ। বৈঠকে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। স্বাধীন, শক্তিশালী গণতান্ত্রিক  প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ এবং নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

আরও পড়ুন

বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সারাহ কুক আশা করেছেন নির্বাচন যেন পার্টিসিপেটরি এবং ক্রেডিবল হয়।’ তিনি বলেন, ‘আলাপচারিতার মধ্যে নির্বাচন প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। সারাহ কুক জানতে চেয়েছিলেন আমাদের প্রস্তুতি কেমন। নির্বাচন সম্পর্কে আশাবাদী, সুন্দর সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। উনি অতিরিক্ত যেটা বলেছেন, নির্বাচনটা যেন পার্টিসিপেটরী (অংশগ্রহণমূলক)  এবং ক্রেডিবল (বিশ্বাসযোগ্য) হয়। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে কী ভূমিকা পালন করবো।’

আলোচনায় গণমাধ্যমের ভূমিকা উঠে এসেছে জানিয়ে সিইসি বলেন, পর্যবেক্ষকের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন  স্বচ্ছতার ওপর জোর দেবে বলে সারাহ কুককে জানিয়েছে। এ জন্য পর্যবেক্ষক এবং গণমাধ্যম বস্তুনিষ্ঠ সহায়তা করবে বলে কমিশন আশা করে। কারণ, নির্বাচনের দর্পণ  গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়।

আরও পড়ুন

সিইসি আরও বলেন, ‘তিনি (সারাহ) বলেছিলেন, গণমাধ্যমের জন্য যে নীতিমালা হয়েছে, সেখানে পারমিশন (অনুমতি) নিয়ে যেতে হবে। আমরা বলেছি, পারমিশন বলে কিছু ছিল না। শেষ পর্যন্ত গণমাধ্যম থেকে যে দাবিটা আসছে, সেটা হলো মোটরসাইকেলের বিষয়। আমরা বলেছি, একটা কারণে এটা বাদ দিয়েছিলাম মোটরসাইকেলের অপব্যবহার হয় কি না।

যাঁরা মাসলম্যান (পেশিশক্তি ব্যবহারকারী) তাঁরা মোটরসাইকেল ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে সংকট তৈরি করেন কি না। একই সঙ্গে বলেছি, গণমাধ্যমের যে দাবি, সেটাও যৌক্তিক। মোটরসাইকেল ছাড়া তাঁদের নির্বাচনী কর্মকাণ্ড কাভার করা কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। সে জন্য আমরা বলেছি, এটা আমরা আন্ডার রিভিউ (বিবেচনাধীন) রেখেছি। সেটা আমরা এডিকুয়েটলি (যথাযথভাবে) পরিবর্তন করব।’

অবাধ ও বস্তুনিষ্ঠ নির্বাচনের জন্য পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি মনে করেন, ভোটকেন্দ্রের ভেতরে বিশৃঙ্খলা এবং অপব্যবহার রোধে পোলিং এজেন্টদের সক্রিয় হতে হবে। তাঁদের সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে। সিইসি বলেন, ‘পোলিং এজেন্টদের আমরা সেনসেটাইজ করব।’  

ব্রিটিশ হাইকমিশনার ও সিইসি কেউই সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন নেননি। বৈঠকে সিইসির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান ও ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম উপস্থিত ছিলেন।