চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫ হাজার ১৪৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ২ হাজার ৮৯টি কেন্দ্রের ভোট গড় করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) দেখেছে, ভোটার উপস্থিতি ৩৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আজ বুধবার বিকেলে ভোট গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
চতুর্থ ধাপে ৬০টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আজ ভোট গ্রহণ হয়। সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়, চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত।
ভোট গ্রহণ শেষে বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘বড় কোনো সহিংসতা ছাড়াই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। বিভিন্ন ধরনের অপরাধে ৯ জনকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গে ২১ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। ভৈরব উপজেলায় একটি ব্যালট বাক্স ছিনতাই হওয়ায় ওই কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়েছে।’
হাবিবুল আউয়াল বলেন, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার কারণে ১১ জন সামান্য আহত হয়েছেন। এর বাইরে বরিশালে পাঁচজন কোপাকুপিতে আহত হয়েছেন। কেন্দুয়ায় সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নিজেই ব্যালটে সিল মারছিলেন, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জাল ভোটের ঘটনা ঘটেছে পাঁচটি।
এবার মোট চার ধাপে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে তৃতীয় ধাপে ২২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল। এর মধ্যে দুটি উপজেলার ভোট হয় আজ চতুর্থ ধাপে। আর বাকি ২০টি উপজেলায় ভোট হবে ৯ জুন।
ইসি জানিয়েছে, চতুর্থ ধাপে ৬০টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট প্রার্থী ৭২১ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ২৫১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬৫ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০৫ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ৫ হাজার ১৪৪টি। এই ৬০ উপজেলায় মোট ভোটার ১ কোটি ৪৩ লাখ ৫৭ হাজার ৮২০ জন।