ঢাকার চারপাশে বৃত্তাকার রেলপথ হবে: সংসদে রেলমন্ত্রী
ঢাকা শহরের চারপাশে বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। আজ সোমবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।
রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে সাসেক রেল যোগাযোগ বিনিয়োগ কার্যক্রমের জন্য কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের আওতায় রেলওয়ের মাস্টারপ্ল্যান হালনাগাদ করার কার্যক্রম গ্রহণ করে। এ প্রকল্পের আওতায় মাস্টারপ্ল্যান হালনাগাদ করা হয়েছে। ২০৪৫ সাল পর্যন্ত সময়ে ৬টি পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬২ কোটি টাকার ২৩০টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা শহরের চতুর্দিকে বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণ। নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা-চট্টগ্রাম সেকশনে ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন, নারায়ণগঞ্জ থেকে লাকসাম বা কুমিল্লা পর্যন্ত কার্ডলাইন নির্মাণ ইত্যাদি।
জিল্লুল হাকিম আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন (ওভারহেড ক্যাটেনারি ও সাবস্টেশন নির্মাণসহ) প্রবর্তনের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিশদ ডিজাইন প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা সমীক্ষা যাচাইয়ের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান টুমাস তার্কিশ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনসালটিং কোম্পানির সঙ্গে গত ১৬ জুলাই চুক্তি করা হয়েছে। প্রকল্পটির মাঠপর্যায়ের কাজ চলমান বলেও জানান জিল্লুল হাকিম।
জ্বালানি ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কমানোর জন্য বাংলাদেশ রেলওয়েতে সহায়ক শক্তি ইউনিট (এপিইউ)-সংবলিত ৪০টি লোকোমোটিভ বাংলাদেশ রেলওয়েতে সংযুক্ত করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
আলী আজমের আরেক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা নির্ধারিত হলে ভাঙ্গা থেকে পায়রা হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের বিনিয়োগ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ের ৬ হাজার ৮৪০ দশমিক ৬১ একর জমি বেদখলে আছে, যার মধ্যে পাকশীতে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৩৫ দশমিক ১২ একর, লালমনিরহাটে ১ হাজার ৪৬৮ দশমিক ১০, চট্টগ্রামে ২১৬ দশমিক ৮৯ ও ঢাকায় ১২০ দশমিক ৫০ একর ভূমি রয়েছে।
জিল্লুল হাকিম বলেন, অবৈধ দখলদারদের নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে বেদখল করা রেলভূমি দখলমুক্ত করে টেন্ডারের মাধ্যমে লিজ দেওয়া হচ্ছে।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সরকারি দলের সংসদ সদস্য ফরিদুন্নাহার লাইলীর প্রশ্নের জবাবে জিল্লুল হাকিম জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ের ৩০৬ ইঞ্জিনের মধ্যে ১৬১টি মেয়াদোত্তীর্ণ। বর্তমানে সচল রয়েছে ২৩৩টি ইঞ্জিন।