এই তফসিল সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করল: জোনায়েদ সাকি
নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যে তফসিল ঘোষণা করেছে, তা সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথে বাধা তৈরি করেছে বলে মনে করছেন গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে মতবিরোধ ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপের মধ্যে আজ বুধবার সন্ধ্যা সাতটায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ওই ভাষণে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
এই তফসিলের প্রতিক্রিয়ায় জোনায়েদ সাকি প্রথম আলোকে বলেন, আপনারা লক্ষ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী গতকাল বলেছেন, দু-এক দিনের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করা হবে। তফসিল ঘোষণার এখতিয়ার তো নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা বলেন কবে তফসিল ঘোষণা হবে। এসব ভূমিকার মধ্য দিয়ে ইসি কতটা স্বাধীন, তা বোঝা যায়। সরকার এই ইসিকে দিয়ে একতরফা নির্বাচন করতে চেয়েছে। আন্দোলনকে সহিংস আখ্যা দিয়ে দমন করতে চেয়েছে। সরকার একতরফা নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতার বৈতরণি পার হতে চায়। জনগণ এবার তা গ্রহণ করবে না। দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন আগেও হয়নি, আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না, এটি প্রমাণ হয়েছে।
সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিরোধী দলগুলোর চলমান আন্দোলনে যুক্ত রয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। দলটির নেতা জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী নির্বাচনকালীন সরকারের অ্যাজেন্ডা রেখে সংলাপের কথা বলেছি। আওয়ামী লীগ এই সংলাপের আহ্বানে সাড়া দেয়নি। তারা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে দেবে না। ষড়যন্ত্র করে, মিথ্যা প্রচার চালিয়ে তারা ক্ষমতায় থাকতে চায়।’
মানুষের সামনে আওয়ামী লীগের এই ‘অসৎ উদ্দেশ্য’ স্পষ্ট হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘এই তফসিল দেশে ও বিদেশে গ্রহণযোগ্য হবে না। বাংলাদেশের মানুষ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। এই তফসিল সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করল।’
জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় চলমান আন্দোলনকে আরও জোরদার করার ঘোষণা দেন জোনায়েদ সাকি।