বিএনপির তিন নেতা চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে
খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসও চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গেছেন। আজ শনিবার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে মির্জা আব্বাস সিঙ্গাপুরে যান। তাঁর সঙ্গে স্ত্রী আফরোজা আব্বাসও রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তাঁরা দুজনেই সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন।
বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও মির্জা আব্বাসের ব্যক্তিগত চিকিৎসক মো. রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পরিপাকতন্ত্রের জটিলতায় ভুগছেন মির্জা আব্বাস। তাঁর হৃদ্রোগের ঝুঁকিও আছে। ইতিপূর্বে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন। তারই ফলোআপসহ সেখানে আফরোজা আব্বাসের কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে।
মির্জা আব্বাসের আগে ২৪ আগস্ট চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর সঙ্গে স্ত্রী রাহাত আরা বেগমও সিঙ্গাপুরে গেছেন। দুজনেই নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। কয়েক বছর আগে মির্জা ফখরুলের ঘাড়ে ইন্টারনাল ক্যারোটিড আর্টারিতে ব্লক ধরা পড়ে। তাঁর গলার ধমনিতে রক্ত চলাচলেও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। তখন সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হয়। মির্জা ফখরুলকে চিকিৎসার ফলোআপের জন্য সিঙ্গাপুরের ওই হাসপাতালে যেতে হয়। স্ত্রী রাহাত আরা বেগমেরও সিঙ্গাপুরের র্যাফেলস হাসপাতালে একটি অস্ত্রোপচার হয়েছিল। ফলোআপের জন্য তাঁকেও ওই হাসপাতালে যেতে হয়।
মির্জা ফখরুল যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তার আগে থেকেই সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ২৭ জুন তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁর ব্রেনের বহির্ভাগে একটি ‘মেনেনজিওমা টিউমার’ ধরা পড়েছে। চিকিৎসকেরা রেডিয়েশনের মাধ্যমে টিউমার অপসারণে থেরাপি দিচ্ছেন। মোট ২৮ দিন রেডিয়েশন দিতে হবে। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এটি চলবে।
আজ বিকেলে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শারীরের অবস্থা আগের চেয়ে ভালোর দিকে। তিনি সুস্থতার জন্য সবার দোয়া চেয়েছেন।
তিনিসহ বিএনপির তিন জ্যেষ্ঠ নেতার সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার কথা জানালে খন্দকার মোশাররফ বলেন, তিনি শুনেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম চিকিৎসার জন্য এসেছেন।